Lok Sabha Election 2024

অভিষেকের সভার পরে ‘কোন্দল’ মিটিয়ে কাজের বার্তা

গত লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে কালনায় এগিয়েছিল বিজেপি। তবে পুর-নির্বাচনে ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭টিতেই জয় হয় তৃণমূলের।

Advertisement

কেদারনাথ ভট্টাচার্য

কালনা শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:১৮
Share:

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

শহরে পুর প্রতিনিধিদের (কাউন্সিলর) মধ্যে ‘দ্বন্দ্ব’ মিটিয়ে এক সঙ্গে কাজ করার বার্তা দিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ মতোই শনিবার দলের পুর প্রতিনিধিদের নিয়ে জেলার দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করলেন তৃণমূলের নেতারা। দল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে নিজেদের ওয়ার্ডে দলকে এগিয়ে রাখতে প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেমে পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুর প্রতিনিধিদের।

Advertisement

গত লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে কালনায় এগিয়েছিল বিজেপি। তবে পুর-নির্বাচনে ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭টিতেই জয় হয় তৃণমূলের। যদিও সেই নির্বাচনে শাসক দলের বিরুদ্ধে বুথ দখল, ভোট লুটের মতো একাধিক অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। এর পরে পুরবোর্ড গঠনের শুরু থেকেই শাসক দলের ‘অন্তর্দ্বন্দ্ব’ প্রকাশ্যে আসে।

বৃহস্পতিবার বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের সাত বিধায়ক-সহ দলীয় নেতাদের সঙ্গে কালনা শহরের একটি বেসরকারি প্রেক্ষাগৃহে বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দল সূত্রের দাবি, সেখানে তিনি জানান, শহরের ৮ পুর প্রতিনিধির বিরুদ্ধে তাঁর কাছে নানা অভিযোগ এসেছে। বৈঠকেই অভিষেক জানতে পারেন, পুরপ্রধান পুরসভায় দেরিতে পৌঁছন, মিউটেশনের জন্য পুরসভায় অতিরিক্ত অর্থ দিতে হয় ইত্যাদি। তৃণমূল সূত্রের খবর, বৈঠকে অভিষেক জানিয়ে দেন, ফল ভাল হলে পুরস্কার, না হলে তিরস্কার। ফল ভাল না হলে প্রয়োজনে পুরবোর্ড ভেঙে দেওয়া হতে পারে।

Advertisement

ওই দিনই তিনি জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে নির্দেশ দেন কালনা শহরে পুর প্রতিনিধিদের নিয়ে আলাদা একটি বৈঠক করতে। সে দিন দলের রাজ্য মুখপাত্র তথা কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগও ছিলেন বৈঠকে। এ ছাড়া, ১৭ জন পুর প্রতিনিধির মধ্যে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পুর প্রতিনিধি ছাড়া সকলেই হাজির হয়েছিলেন বলেদাবি সূত্রের।

তৃণমূলের দাবি, শনিবারের বৈঠকে পুর প্রতিনিধিদের জানিয়ে দেওয়া হয়, বুথ সভাপতি এবং ওয়ার্ড সভাপতির মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে। কাউকে দলীয় অনুষ্ঠানে ডাকা হচ্ছে, অথচ তিনি আসছেন না, কেবল মুখের কথায় বিশ্বাস করা হবে না। প্রয়োজনে তাঁকে মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে আমন্ত্রণ জানানোর ‘স্ক্রিন শট’ রেখে দিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মানুষের জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার-সহ যা যা প্রকল্প করেছেন, তা নিয়ে প্রচারে নেমে পড়তে হবে সকলকে। উপস্থিত পুর প্রতিনিধিরা জানিয়ে দেন, নিজেদের ওয়ার্ড থেকে এই নির্বাচনে দলকে ‘লিড’ এনে দিতে তাঁরা প্রস্তুত।

জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ বলেন, “বৈঠকে সব ওয়ার্ডে সকলকে সক্রিয় ভাবে প্রচারের বার্তা দেওয়া হয়েছে। যেহেতু সামনেই ভোট, তাই এখন পুরসভার পরিষেবা নিয়ে আলোচনা সম্ভব নয়। প্রয়োজনে ভোট মেটার পরে বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে।” তিনি জানান, ঘণ্টাখানেকের বৈঠকে জানানো হয়েছে, ওয়ার্ড পিছু প্রচারের জন্য নির্দিষ্ট অর্থ দেওয়া হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement