জন বার্লা। —ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার পরেও মান ‘ভাঙল না’। লোকসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থীর প্রচার থেকে এখনও ‘দূরেই’ আলিপুরদুয়ারের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। তিনি যে সংগঠনের চেয়ারম্যান, সেই ‘বিটিডব্লিউইউ’ বা ভারতীয় টি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নকেও এখনও মনোজ টিগ্গার হয়ে ভোট প্রচারে নামতে দেখা যায়নি বলে গেরুয়া শিবির সূত্রেই খবর। যদিও বিজেপির দাবি, দলের ভোট প্রচার এখনও কার্যত শুরুই হয়নি। যখন পুরোদমে শুরু হবে, তখন সবাই প্রচারে নামবেন।
তবে বার্লা ঘনিষ্ঠ এক বিটিডব্লিউইউ নেতা বলেন, “কাওয়াখালিতে প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগ দিলেও জন বার্লা দলের তরফে এখনও কোনও সুস্পষ্ট বার্তা পাননি। তাই প্রচার নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। শুনেছি, খুব শীঘ্রই তিনি নয়াদিল্লিতে যেতে পারেন। সেখানে কোনও বার্তা পেলে হয়তো এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।” বিটিডব্লিউইউ-এর ওই নেতাই জানান, সরকারি কাজে রবিবার রাজ্যের বাইরে রয়েছেন বার্লা। তবে এ বিষয়ে দিনভর বার্লার সঙ্গে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন কেটে দেন।
আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী মনোজ অবশ্য বলেন, “এখনও দলের তরফে সে ভাবে প্রচার শুরু হয়নি। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হলে পুরোদমে প্রচার শুরু হবে। তখন দলের সবাই প্রচারে নামবেন।” যদিও বিজেপি সূত্রে খবর, তাঁর নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হওয়ার পরেই জেলার বিভিন্ন জায়গায় ভোট প্রচার শুরু করে দিয়েছেন মনোজ। রবিবার কুমারগ্রামের বেশ কিছু জায়গাতেও ভোট প্রচারে দেখা যায় তাঁকে।
তবে বিজেপির অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ বলেন, “এটা ভোট প্রচার নয়। মানুষের সঙ্গে স্রেফ সৌজন্য সাক্ষাৎ। মূল প্রচার শুরু হলে সকলেই ময়দানে নামবেন। দলে কোনও বিরোধ নেই।” এই বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক মৃদুল গোস্বামী বলেন, “এটা বিজেপির অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এটা স্পষ্ট, বিজেপির নেতারা কেউই ক্ষমতার বাইরে থাকতে পারেন না। আবার ক্ষমতায় থাকলে মানুষের জন্য কাজও করেন না। সেটা সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিজেপির সাধারণ কর্মীরাও বুঝে গিয়েছেন। এ বারের ভোটে সকলেই তার জবাব দেবেন।”