কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে জয়প্রকাশ ভাই পটেল। ছবি: পিটিআই।
লোকসভা ভোটের আগে ঝাড়খণ্ডে এ বার বিজেপির ঘরে ভাঙন ধরাল কংগ্রেস। বুধবার দিল্লিতে কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নিলেন সে রাজ্যের মান্ডু কেন্দ্রের বিধায়ক জয়প্রকাশ ভাই পটেল। জয়প্রকাশকে দলে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়খণ্ডে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা গুলাম আহমেদ মির, সে রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ ঠাকুর, চম্পই সোরেন মন্ত্রিসভার সদস্য আলমগির আলম এবং প্রবীণ নেতা পবন খেরা।
জয়প্রকাশের পিতা, অধুনাপ্রয়াত টেকলাল মাহাতো ঝাড়খণ্ডের শাসকদল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)-র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত গিরিডির সাংসদ ছিলেন তিনি। পরে মান্ডুর বিধায়কও হন তিনি। ২০১৪ সালে পিতার ছেড়ে যাওয়া আসনে ভোটে লড়ে জেএমএম প্রার্থী হিসাবে লড়ে নির্বাচিত হন জয়প্রকাশ। পরে দলবদল করে যান বিজেপিতে। ২০১৯ সালে মান্ডু কেন্দ্র থেকেই পুনর্নির্বাচিত হন। বুধবার দলবদলের কারণ ব্যাখ্যা করে জয়প্রকাশ জানিয়েছেন, বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ-তে পিতার আদর্শের কোনও প্রতিফলন দেখতে পাননি তিনি। তাই পদ্মশিবির ছেড়ে ঝাড়খণ্ডে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’কে শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নেন।
নতুন দলে যোগ দিয়েই জয়প্রকাশ বলেন, “আমি কোনও পদের লোভে কংগ্রেসে যোগ দিইনি। আমার বাবার স্বপ্নপূরণ করতে নতুন দলে এলাম।” কংগ্রেস সূত্রে খবর, তিনি হাজারিবাগ লোকসভা কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। কংগ্রেসে যোগ দিয়েই জয়প্রকাশের প্রত্যয়ী ঘোষণা ঝাড়খণ্ডের ১৪টি লোকসভা আসনেই জিতবে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। ১৩ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত মোট চার দফায় ঝাড়খণ্ডের ১৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে।
প্রসঙ্গত, জেএমএম-এর প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেনের পুত্রবধূ তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বৌদি সীতা সোরেন মঙ্গলবারই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দুমকা জেলার জামা কেন্দ্রের তিন বারের বিধায়ক সীতা শিবুর জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রয়াত দুর্গা সোরেনের স্ত্রী।