—প্রতীকী চিত্র।
দক্ষিণ মালদহ আসনে প্রার্থী না দিতে আর্জি জানিয়ে ‘ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট’-কে (আইএসএফ) চিঠি দিলেন মালদহ জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বিদায়ী সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)। মূলত আইএসএফের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকীকে সেই চিঠি পাঠানো হয়েছে। আইএসএফ প্রার্থী দিলে, ভোট ভাগাভাগিতে বিজেপির সুবিধা হওয়ার আশঙ্কা তুলে ধরা হয়েছে সেই চিঠিতে। উত্তর মালদহ আসন থেকেও প্রার্থী প্রত্যাহারের আর্জি জানানো হয়েছে।
রবিবার মালদহের কালিয়াচক ও চাঁচলে দলীয় সাংগঠনিক সভা করে গিয়েছেন আইএসএফ নেতা নওসাদ সিদ্দিকী। কালিয়াচকের সভায় নওসাদ বলেছেন, ‘‘দক্ষিণ মালদহ আসনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে আমরা মনস্থির করেছি। কংগ্রেস ও সিপিএমের সঙ্গে জোট নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা আটটি আসনে প্রার্থী দিয়েছি। জোটের স্বার্থে আটটিতেই সীমাবদ্ধ থাকতে চাইছি। দু’টি বড় দল যদি আমাদের 'সাইড লাইন' করার চেষ্টা করে তিন-চারটি আসনে সীমাবদ্ধ রাখে, তখন আমরা আটটির দ্বিগুণ বা তারও বেশি আসনে প্রার্থী দেব। এমনকি, দক্ষিণ মালদহ আসনেও প্রার্থী দেব।"
নওসাদের বক্তব্যের পরে, দক্ষিণ মালদহ আসনে তারা যাতে প্রার্থী না দেয় সে আর্জি জানিয়ে আইএসএফকে চিঠি দেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি। ওই চিঠিতে ফুরফুরা শরিফের পরিবারের সঙ্গে গনি খান চৌধুরীর সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ১৯৮০ সাল থেকে দক্ষিণ মালদহ আসনে জিতে আসছে কংগ্রেস। প্রথমে গনি খান চৌধুরী ওই আসন থেকে জিতেছেন এবং পরবর্তীতে তার ভাই আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু) চার বার নির্বাচিত হয়েছেন। এ বার ডালু-পুত্র ইশা খান চৌধুরীকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। গনি খানের সঙ্গে সুসম্পর্কের ধারা বজায় রেখে প্রার্থী না দেওয়ার আর্জি করা হয়। পাশাপাশি, চিঠিতে ভোট ভাগাভাগির কথাও বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী ৮,০০০ ভোটে হেরেছেন। আইএসএফ প্রার্থী দিলে কংগ্রেসের সঙ্গে ভোট ভাগাভাগিতে বিজেপির সুবিধা হয়ে যেতে পারে। ডালু বলেন, ‘‘আইএসএফকে চিঠি দিয়ে দক্ষিণ মালদহ আসনে প্রার্থী না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছি। উত্তর মালদহ আসন থেকেও প্রার্থী তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছি।’’
আইএসএফের মালদহ জেলা সভাপতি মহম্মদ আলি কালিমুল্লা বলেন, ‘‘কারও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ভাবিত নই। ভাইজান (নওসাদ) রবিবার বলেছেন কংগ্রেস-সিপিএমের সঙ্গে এখনও জোটের অপেক্ষা করছি। ঐক্যবদ্ধ হয়েই লড়াই করতে চাইছি। জোট না হলে, দল সিদ্ধান্ত নেবে।’’