Lok Sabha Election 2024

ভোটে অঞ্চল কমিটি নিয়েও তৃণমূলে অশান্তি বলাগড়ে

ব্লকের বাকি ৭টি অঞ্চলেও নির্বাচন কমিটি শীঘ্রই করা হবে বলে তৃণমূল নেতৃত্ব জানান। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে হুগলিতে জিতেছিল বিজেপি।

Advertisement

প্রকাশ পাল , বিশ্বজিৎ মণ্ডল

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:২৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হুগলিতে এসে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন, দলীয় প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতাতে দ্বন্দ্ব ভুলে সবাইকে এককাট্টা হলে লড়ার। তার পরেও হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বলাগড়ে তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীকোন্দলে লাগাম পরছে কই!

Advertisement

এই ব্লকে অঞ্চল অর্থাৎ পঞ্চায়েতভিত্তিক নির্বাচন কমিটি গঠন শুরু হল। শনিবার গুপ্তিপাড়া ১, ২, একতারপুর, জিরাট, সিজা কামালপুর এবং ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর ২— এই ছ’টি অঞ্চল কমিটি গঠিত হয়। তবে, একাধিক ক্ষেত্রে কমিটি গঠন নিয়ে বাক্‌বিতন্ডা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে হস্তক্ষেপ করতে হয় দলের শ্রীরামপুর-হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইনকে। অভিষেক এই ব্লকের দায়িত্ব দিয়েছেন অরিন্দমকে।

তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের কবুড়া পাঁচপাড়া কার্যালয়ে শনিবারের বৈঠকে গুপ্তিপাড়া ১, ২ এবং জিরাট অঞ্চল কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে দলের সংশ্লিষ্ট এলাকার দু’পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। জিরাটের ক্ষেত্রে স্থানীয় এক নেতাকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না, এই দাবি তোলে অপর পক্ষ। তা নিয়ে তুমুল বচসা হয় দু’পক্ষের। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নাগালের বাইরে যেতে দেখে অরিন্দম স্পষ্ট জানান, দলের সিদ্ধান্তই মেনে নিতে হবে। শেষ পর্যন্ত যে ব্যক্তিকে নিয়ে গোলমাল, তাঁকে মেনে নেয় অপরপক্ষ।

Advertisement

অরিন্দম বলেন, ‘‘যে কোনও আলোচনায় মতপার্থক্য, মতবিরোধ থাকতে পারে। হাতাহাতি কিছু হয়নি, কথা কাটাকাটি হয়েছে। সেটা হতেই পারে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য একটাই, ওই হারা আসন পুনরুদ্ধার করা। দলের সিদ্ধান্তকে মাথায় গেঁথে নিয়েই করতে হবে কাজ, এটাই আমাদের বার্তা।’’ ব্লকের বাকি ৭টি অঞ্চলেও নির্বাচন কমিটি শীঘ্রই করা হবে বলে তৃণমূল নেতৃত্ব জানান। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে হুগলিতে জিতেছিল বিজেপি।

এর আগে বলাগড়ে ১৯ জনের ব্লক নির্বাচন কমিটি গঠন করেছে তৃণমূল। এ দিনের বৈঠকে ওই কমিটির পুনর্বিন্যাস করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক তথা বর্তমানে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ অসীম মাঝি এবং ডুমুরদহ নিত্যানন্দপুর ১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শ্যামাপ্রসাদ রায় বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কমিটি তৈরির বেশ কিছুদিন পরে কেন এই দুই প্রবীণ নেতাকে ওই পদে বসানো হল, তা নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে।

কমিটির চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে তাঁকে কোণঠাসা করার অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার ফেসবুকে লেখেন, তিনি নির্বাচন কমিটির সব দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন। প্রার্থীর সঙ্গেও প্রচার করবেন না। তিনি একা প্রচার চালাবেন সিএএ, এনআরসি-র বিরুদ্ধে। এ দিন অবশ্য বৈঠকে বিধায়ক ছিলেন। তিনি ফোন না ধরায় তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

অরিন্দমের বক্তব্য, ‘‘ব্লক নির্বাচন কমিটি আগেই করা হয়েছে। সব পদ তখন করা হয়নি।’’ তিনি জানান, অসীম যে হেতু প্রাক্তন বিধায়ক ও শ্যামাপ্রসাদ প্রাক্তন ব্লক সভাপতি, তাই তাঁদের আহ্বায়ক করা হল।’ ওই নির্বাচন কমিটির সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায় দলের ব্লক সভাপতিও। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের জিততে হবে। তাই দলের নির্দেশে সকলকে এক হয়ে নির্বাচনে জান লড়াতে হবে। তৃণমূলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement