—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের আগে রাঁচিগামী নতুন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস পাচ্ছে আসানসোল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে ওই ট্রেনে বাতানুকূল ‘চেয়ার কার’ ছাড়াও, কাচের বড় জানালাওয়ালা ‘ভিস্তাডোম’ কোচ থাকছে।
আজ, মঙ্গলবার সারা দেশে ১০টি বন্দেভারত এক্সপ্রেস-সহ আরও ৮টি নতুন ট্রেন চালু করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ ছাড়া, প্রায় ৮৫ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। বন্দেভারত এক্সপ্রেসের বাইরে যে সব নতুন ট্রেন চালু হচ্ছে তার মধ্যে (আসানসোল-হাতিয়া) ওই ট্রেনও রয়েছে। অন্য ট্রেনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই ট্রেনেরও ‘ভার্চুয়াল’ মাধ্যমে যাত্রার সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
রেল সূত্রে খবর, এর আগে রাঁচি থেকে মধুপুরের মধ্যে ট্রেন ছিল। ওই ট্রেনের পরিবর্তে নতুন ট্রেনের যাত্রাপথে সামান্য বদল আনা ছাড়াও, তাকে দু’দিকেই সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। নতুন ট্রেনটি গিরিডি, কোডারমা, বরকানা, রাঁচি হয়ে
চলবে। কাল, বুধবার থেকেই নতুন ট্রেন হাতিয়া থেকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে যাত্রী পরিষেবা শুরু করবে। ওই ট্রেনটি ভোর ৪টে নাগাদ আসানসোল থেকে ছেড়ে দুপুর ২টো নাগাদ
হাতিয়া পৌঁছবে। ফিরতি পথে দুপুর ৩টে নাগাদ ট্রেনটি হাতিয়া থেকে
ছেড়ে রাত ১১টা ৪০ মিনিটে আসানসোল পৌঁছবে। ট্রেনটি সপ্তাহে ৫ দিন (সোম, বুধ, বৃহস্পতি, শনি ও রবিবার) চলবে। মঙ্গল ও শুক্রবার এই ট্রেন চলবে না।
নতুন ট্রেনে পাঁচটি সাধারণ চেয়ার কার কামরা, দু’টি বাতানুকূল কামরা এবং একটি কাচের বড় জানালাওয়ালা ভিস্তাডোম কোচ থাকবে। আসানসোল ডিভিশনে এই প্রথম এমন কোচ দেওয়া ট্রেন চালু হচ্ছে বলে রেল জানিয়েছে। পূর্ব রেলে হাওড়া-রাধিকাপুর এক্সপ্রেসের পরে এটি দ্বিতীয় ট্রেন, যেখানে এই সুবিধে থাকবে। পূর্ব রেলের প্রিন্সিপ্যাল চিফ কমার্সিয়াল ম্যানেজার সৌমিত্র মজুমদার জানান, আসানসোল থেকে রাঁচি যাওয়ার ট্রেন চালু করার জন্য যাত্রীদের তরফে বার বার দাবি জানানো হচ্ছিল। ওই দাবিকে মর্যাদা দিয়েই পুরনো ট্রেনের পরিবর্তে নতুন এই ট্রেন চালু করা হচ্ছে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে নতুন ট্রেন চালুকে ‘নির্বাচনী উপহার’ হিসেবেই দেখছে নানা মহল। এ ছাড়াও, প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান থেকে পণ্য পরিবহণের স্বার্থে তিনটি নতুন গতিশক্তি টার্মিনাল চালু হচ্ছে। সেগুলি হল অন্ডাল, সীতারামপুর এবং জনাই রোডে। এর মধ্যে অন্ডাল এবং সীতারামপুর আসানসোল ডিভিশনের। রেলের দাবি, ওই দুই টার্মিনাল থেকে কয়লা, স্পঞ্জ আয়রন, সিমেন্ট, চিনি পরিবহণ করা হবে। এর ফলে বছরে ৩০ লক্ষ টনের বেশি পণ্য পরিবহণ করা সম্ভব হবে।