Dinhata

হাত থেকে মাইক ছিনিয়ে সভায় ভাঙচুর! দিনহাটায় এ বার তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ফরওয়ার্ড ব্লকের

ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতারা জানাচ্ছেন এ নিয়ে তাঁরা পুলিশ প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন। যদিও হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

দিনহাটা শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৫৬
Share:

ভাঙচুরের পরের দৃশ্য। —নিজস্ব চিত্র।

লোকসভা নির্বাচনের আগে আবার উত্তপ্ত কোচবিহারের দিনহাটা। এ বার অশান্তি পাকানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন রাজ্যের শাসকদলের জেলা নেতৃত্ব। তবে শুক্রবার এই ঘটনার জেরে জোর চাপানউতর শুরু হয়েছে এলাকায়।

Advertisement

দিনহাটার গীতালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিরহাট এলাকায় ফরওয়ার্ড ব্লকের একটি পথসভা ছিল। অভিযোগ, সন্ধ্যায় ওই পথসভায় বিনা প্ররোচনায় হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। ফরওয়ার্ড ব্লকের অভিযোগ, কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে তাদের প্রার্থী নীতীশচন্দ্র রায়ের সমর্থনে হরিরহাট বাজার এলাকায় একটি পথসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে তৃণমূল আশ্রিত চার-পাঁচ জন দুষ্কৃতী ঢুকে হামলা চালান। সভাস্থলে থাকা চেয়ার-টেবিল এবং মাইক ভাঙচুর করা হয়। বাধা দিতে গেলে চলে হুঁশিয়ারি। ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন সাংসদ নৃপেন রায় বলেন, ‘‘আমি যখন সভায় বক্তৃতা করছিলাম, সেই সময় হঠাৎ করেই তৃণমূলের কয়েক জন গুন্ডা আমার হাত থেকে মাইক ছিনিয়ে নেয়। তার পর ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এই অবস্থায় বামফ্রন্টের কর্মীরা সেখান থেকে সরে যান।’’ তিনি জানান, এ নিয়ে থানায় এবং নির্বাচনের কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাতে যাচ্ছেন তাঁরা।

যদিও হামলার সঙ্গে তৃণমূলের জড়িত থাকার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দলীয় মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘ফরওয়ার্ড ব্লক প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলেছে। তাই নির্বাচনের আগে প্রচারের আলোতে আসতে এই রকমের নাটক করে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘তবে যদি এমন কোনও ঘটনা ঘটে থাকে, তার জন্য নির্বাচন কমিশন রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সবটা খতিয়ে দেখবে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও কর্মী কোনও ভাবেই যুক্ত নয়।’’

Advertisement

বস্তুত, লোকসভা ভোটের আগে দফায় দফায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছে দিনহাটা। কখনও তৃণমূলের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। কখনও বিজেপি আঙুল তুলেছে তৃণমূলের দিকে। এমনকি, অশান্তির প্রেক্ষিতে রাজ্যপালও দিনহাটা গিয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement