Lok Sabha Election 2024

ভোটারের নাম কাটতে চাই উপযুক্ত ব্যাখ্যা

কমিশন সূত্রের বক্তব্য, আগে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট আবেদনপত্রের ভিত্তিতে বা নিজে থেকে মনে করলে কোনও ভোটারের নাম সংশ্লিষ্ট তালিকা থেকে বাদ দিতে পারতেন ইআরও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৪ ০৫:৪৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

প্রায় সাত মাস আগের নির্দেশিকায় জাতীয় নির্বাচন কমিশন সব রাজ্যকে জানিয়ে দিয়েছিল, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দিতে হলে ফর্ম৭-এর ব্যবহার বাধ্যতামূলক হবে। তা ছাড়া এই পদক্ষেপ করতে পারবেন না ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারেরা (ইআরও)। অর্থাৎ, নাম বাদ যাওয়ার ক্ষেত্রে লিখিত ভাবে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যাখ্যা এবং প্রমাণ মজুত থাকতে হবে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে তুঙ্গে ওঠা রাজনৈতিক তরজার মধ্যে কমিশনের কিছুটা পুরনো এই আদেশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।

Advertisement

কারণ, সিএএ নিয়ে সুর চড়িয়েছে শাসক দল তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, কারও নাগরিকত্ব বাতিল হলে চুপ করে থাকবে না তাঁর দল। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আশ্বাস, এতে নাগরিকত্ব হারানোর প্রশ্ন ওঠে না। এরই মধ্যে এ বার লোকসভা ভোট ঘোষণার আগে কমিশন সূত্রে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়া নিয়ে স্পষ্ট বার্তা থাকা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে।

কমিশন সূত্রের বক্তব্য, আগে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট আবেদনপত্রের ভিত্তিতে বা নিজে থেকে মনে করলে কোনও ভোটারের নাম সংশ্লিষ্ট তালিকা থেকে বাদ দিতে পারতেন ইআরও। কমিশনের নতুন নির্দেশে, ভোটার তালিকা থেকে কারও নাম বাদ দিতে হলে ইআরও-কে ফর্ম৭-এর ব্যবহার করতেই হবে। ভুল ভাবে নাম বাদ পড়া ঠেকাতেই ফর্ম৭-এর সঙ্গে যাচাই বাধ্যতামূলক করার কথা জানিয়েছে কমিশন।

Advertisement

কোন কোন ক্ষেত্রে নাম বাদ যাবে, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছে কমিশন। প্রথমত, একই ছবিতে বা পরিচয়ে একাধিক বার কোনও ব্যক্তির উপস্থিতি ভোটার তালিকায় থাকলে (পোশাকি ভাষায় তাকে বলা হয় ‘ফটো সিমিলার এন্ট্রি’ এবং ‘ডেমোগ্রাফিক সিমিলার এন্ট্রি’)। দ্বিতীয়ত, একই ব্যক্তির নাম ভিন্ন ঠিকানায় থেকে গেলে। তৃতীয়ত, কোনও মৃত ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকায় থাকলে।

প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “যদি ‘ক্যা’ দেখিয়ে এনআরসি নিয়ে এসে এখানকার নাগরিকদের কারও নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়, আমরা চুপ করে থাকব না।” যদিও মমতার সেই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি।

প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এর পরেও মৌলিক কিছু প্রশ্নে বিভ্রান্তি থেকে যেতে পারে সাধারণ মানুষের মধ্যে। তবে নাগরিকত্বের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অবস্থান এবং ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ার বিষয়ে কমিশনের ব্যাখ্যা কিছুটা হলেও সেই বিভ্রান্তি কাটাতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement