ইউসুফ পাঠান এবং হুমায়ুন কবীর। —ফাইল চিত্র।
বহরমপুর লোকসভার কেন্দ্রের প্রায় সব এলাকাই হাতের তালুর মতো তাঁর চেনা। তৃণমূলশ্রুতি: এই কারণে দলীয় প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে জেতাতে তাঁর ‘বিশেষ দায়িত্ব’ও দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শাসক বিধায়ক সেই হুমায়ুন কবীরের নিজের এলাকাতেই নাকি দু’টি বুথে তৃণমূলের এজেন্ট নেই!
বহরমপুরে ইউসুফকে তৃণমূল প্রার্থী করায় প্রথমে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন হুমায়ুন। পরে শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে তাঁর মানভঞ্জন হয়। দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর অঙ্গীকারও করেছিলেন হুমায়ুন। তাঁকে দলনেত্রী ‘বাড়তি’ দায়িত্বও দেন। হুমায়ুন ভরতপুরের বিধায়ক হলেও তৃণমূল সূত্রে খবর, রেজিনগরও তাঁর খাসতালুক বলেই পরিচিত। সেখানেই তাঁর বাড়ি। সেই জায়গার শক্তিপুর বাজার পাড়ার ১৪২ ও ১৪৩ নম্বর বুথে তৃণমূলের এজেন্ট দেখা গেল না! ঘটনাচক্রে, কয়েক দিন আগে রামনবমীতে অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল এই শক্তিনগরে।
দু’টি বুথে এজেন্ট না থাকার কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন হুমায়ুন। তিনি বলেন, ‘‘শক্তিপুরে একটি অশান্তির ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় মেরুকরণের রাজনীতি করেছে বিজেপি। বিজেপি যদি মেরুকরণ করে, তবে আমরাও পাল্টা মেরুকরণ করব। বিজেপির থেকে অনেক বেশি ভোট পাব আমরা।’’
হুমায়ুনের এই মন্তব্যে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘ভোট চলাকালীন উস্কানিমূলক মন্তব্য আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘনের শামিল। নির্বাচন কমিশনের অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।’’ বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘‘বহরমপুর লোকসভার কথা ছেড়ে দিন। হুমায়ুনের নিজের বাড়ি যে বিধানসভায়, সেই রেজিনগরে লক্ষাধিক ভোটে পরাস্ত হবে।’’