প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
রাজ্যে পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব এবং উত্তর সীমান্ত রেলের প্রায় ৪০টি স্টেশনের ‘ভোলবদলের’ জন্য প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রেল। রেলের দাবি, অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মাঝারি মাপের স্টেশনগুলির জন্য প্রায় ১১৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তার মধ্যে একা ব্যান্ডেল স্টেশনের কপালে জুটেছে ৩০৭ কোটি টাকা। আগামী বছর দুয়েকের মধ্যে ওই সব স্টেশন উন্নয়নের কাজ সম্পূর্ণ হবে বলেও মনে করছেন রেলের কর্তারা। প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের আগে স্টেশন উন্নয়ন খাতে বিপুল বরাদ্দ ঘোষণা করার মাধ্যমে কেন্দ্রের উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিতে মরিয়া মোদী সরকার। আগামিকাল, সোমবার কেন্দ্রীয় ভাবে ওই উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও এর মধ্যে উন্নয়নের থেকে রাজনীতির গন্ধই বেশি বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা।
শনিবার পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মিলিন্দকুমার দে জানান, শিয়ালদহ ডিভিশনের বনগাঁ, বারাসাত, দমদম গেদে, কল্যাণী, মধ্যমগ্রাম, সোনারপুর স্টেশন উন্নয়নের জন্য প্রায় ১২১ কোটি টাকা এবং হাওড়া ডিভিশনের বালি, চন্দননগর, ডানকুনি, সাঁইথিয়া স্টেশনের জন্য প্রায় ৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। আসানসোল এবং মালদহ ডিভিশনের বিভিন্ন স্টেশনের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে যথাক্রমে ৯৪ এবং ১০৪ কোটি টাকা। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অনিলকুমার মিশ্র জানান, দিঘা, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, পুরুলিয়া, খড়গপুর, বার্নপুর, মেদিনীপুর, তমলুক, ঝাড়গ্রাম, মেচেদা, হলদিয়া-সহ একাধিক স্টেশনের উন্নয়নে ৫৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
রেলের বক্তব্য, অমৃত ভারত প্রকল্পে রেল স্টেশনগুলিকে স্থানীয় বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি আগামী ৫০ বছরের যাতায়াতের চাহিদা পূরণের উপযোগী করে গড়ে তোলাই লক্ষ্য। যদিও স্টেশন উন্নয়ন খাতের বেশির ভাগই প্রথম বছরে বাহ্যিক চাকচিক্য বৃদ্ধির জন্য খরচ হবে। তবে কর্তাদের দাবি, যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বিভিন্ন স্টেশনে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের বিষয়টিকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও, লাউঞ্জ, উন্নত ডিসপ্লে বোর্ড, বিশেষভাবে সক্ষমদের উপযোগী বিভিন্ন পরিকাঠামো, আধুনিক শৌচাগার-সহ পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজও ধাপে ধাপে হবে।
আগামিকাল, সোমবার রাজ্যের নানা স্টেশনে শিলান্যাস প্রকল্পের অনুষ্ঠান হবে। ব্যান্ডেল স্টেশনে হাজির থাকবেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এ ছাড়াও, শাসক দলের জনপ্রতিনিধি, সরকারি পুরস্কারপ্রাপক, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং স্কুল পড়ুয়াদের ওই অনুষ্ঠানে হাজির করা হচ্ছে। সব অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা শোনানোর জন্য জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হচ্ছে বলে রেল সূত্রের খবর।