প্রচারের ফাঁকে ডাবের জলে চুমুক রচনাক। বুধবার চুঁচুড়ায়। —নিজস্ব চিত্র।
চলচ্চিত্র এবং টিভি শো-এর দৌলতে তিনি জীবনে ‘সব’ পেয়েছেন। এ বার দেওয়ার পালা বলে রাজনীতিতে আসা— এমনটাই দাবি হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
বুধবার সকালে ব্যান্ডেলে প্রচারের পর দুপুরে চুঁচুড়ায় জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে খোশমেজাজে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দেন রচনা। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘টাকা-পয়সা, প্রতিপত্তি, ভালবাসা, সংসার, ছেলে— জীবনে সব পেয়েছি। এ বার দেওয়ার পালা। তাই রাজনীতিতে এলাম।’’
রচনা জানান, তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আলাপ ২০০৯ সাল থেকে। তিনি বলেন, ‘‘দিদির (মুখ্যমন্ত্রী) সঙ্গে আমার খুব ভাল সম্পর্ক। দিদিই আমাকে রাজনীতিতে আসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। শুরুতে টানা কয়েক দিন ভেবেছিলাম। কারণ, আমার ব্যবসা, কাজ, সংসার এবং ছেলে। দিদি একদিন জানতে চাইছেন, এত কী ভাবছ? বললাম ছেলের কথা। দিদি হেসে বলেছিলেন, বাবা তোমার ভাবার জন্য কত কী আছে!’’
রচনা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, ছেলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে। রচনার কথায়, ‘‘দিদি বলেছিলেন, ছেলে তো বড় হয়ে গিয়েছে। আর কিছুদিন পর প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। বাইরেও চলে যেতে পারে।’’ এই কথাটাই তাঁকে রাজনীতিতে আসার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিল বলে রচনার দাবি। তিনি বলেন, ‘‘আমি ছেলের প্রতি ভীষণ 'বায়াসড' (পক্ষপাতদুষ্ট)। তখন ভেবেছিলাম, ছেলে আর ছোট্টটি নেই যে কোলে নিয়ে ঘুরব। সময় এসেছে, সাধারণ মানুষকে কিছু দিতে হবে। কারণ, মানুষের কাছ থেকে আমি অনেক কিছু পেয়েছি।"
বাংলা ছাড়াও নানা ভাষায় সিনেমা করেছেন। ১৩ বছর ধরে চলতে থাকা একটি জনপ্রিয় টিভি শো সঞ্চালনারও দায়িত্বে রয়েছেন রচনা। তাঁর মতে, ওই শো-ই তাঁর জীবনের ‘হাইলাইট’ তিনি বলেন, ‘‘আমি নানা রাজ্যের মানুষের সঙ্গে কাজ করেছি। অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। কিন্তু ওই টিভি শো-ই আমার জীবনের হাইলাইট। ৩৬৫ দিন তিনটি করে 'এপিসোড' (পর্ব)। প্রতি এপিসোডে ৪ জন করে মহিলা। অর্থাৎ, প্রতিদিন ১২ জনের সঙ্গে কথা বলি। তাঁদের বোঝার চেষ্টা করি।’’
ও পার বাংলার পয়লা বৈশাখ পালন রচনার অত্যন্ত প্রিয়। তিনি বলতে থাকেন, ‘‘ঢাকায় কত মানুষ বেরিয়ে আসে জানেন! কত মানুষের আবেগ! যদি জিতি, তা হলে
সামনের বছর পয়লা বৈশাখ হুগলির মানুষের সঙ্গে ওই ভাবে কাটানোর ইচ্ছা আছে।’’