গুলাম নবি আজ়াদ। — ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনে লড়বেন না, জানিয়ে দিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন কংগ্রেস মুখ্যমন্ত্রী তথা ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ আজ়াদ পার্টি (ডিপিএপি)-র প্রধান গুলাম নবি আজ়াদ। ডিপিএপি-র তরফে অনন্তনাগ-রজৌরি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু আজ়াদ আদৌ ভোটে লড়বেন কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। দলের ঘোষণার পরেও তিনি জানিয়েছিলেন, ভোটে লড়ার বিষয়ে তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। বুধবার অনন্তনাগের একটি সভা থেকেই নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন আজ়াদ।
এর আগে গত ২ এপ্রিল ডিপিএপি-র মুখপাত্র সলমন নিজ়ামি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে জানিয়েছিলেন, অনন্তনাগ-রজৌরি কেন্দ্র থেকে দলের টিকিটে ভোটে লড়বেন আজ়াদ। দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ঘোষণার কিছু দিন পরে এ প্রসঙ্গে আজ়াদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব কি না, তা এখনও ঠিক করিনি। আমার দল ঘোষণা করেছে। কিন্তু আমি চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি।’’
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে অনন্তনাগ-রজৌরি আসনে লড়াই কঠিন হতে পারে আঁচ করেই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আজ়াদ। ২০২৩ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের লোকসভা ও বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাসে অনন্তনাগ আসন ভেঙে গড়া হয়েছে অনন্তনাগ-রজৌরি। পুরনো অনন্তনাগ লোকসভা নির্বাচনী ক্ষেত্রে রাজৌরি এবং পুঞ্চের কিছু এলাকা মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা আগে ছিল জম্মু লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাজৌরি এবং পুঞ্চে হিন্দু জনসংখ্যা বেশি। যেখানে বিজেপি শক্তিশালী। ন্যাশনাল কনফারেন্সের তরফে মিয়াঁ আলতাফ এবং পিডিপির তরফে মেহবুবা মুফতির বিরুদ্ধে লড়তে হত আজ়াদকে। তবে না লড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করে কাশ্মীর উপত্যকার তিনটি আসন— শ্রীনগর, বারামুলা এবং অনন্তনাগে জিতেছিল ন্যাশনাল কনফারেন্স। বিজেপি জম্মু এবং উধমপুরের পাশাপাশি লাদাখে জয়ী হয়। ২০২২ সালে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন আজ়াদ। রাজ্যসভায় তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার দিন সভায় কেঁদে ফেলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। পরবর্তী কালে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে তিনি নতুন দল গড়েন।