দেব। —ফাইল চিত্র।
আশাকর্মী পদে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ দেবের (দীপক অধিকারী) ‘প্রতিনিধি’ রামপদ মান্নার বিরুদ্ধে। তা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টেও মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল হতেই অভিযোগকারী দাবি করলেন, ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা তিনি ফেরত পেয়ে গিয়েছেন।
ঘাটালের ক্ষীরপাই এলাকার বাসিন্দা গঙ্গেশ সাঁতরা অভিযোগ করেছিলেন, আশাকর্মী পদে তাঁর মেয়ে মৌসুমী সাঁতরার চাকরির জন্য তিনটি কিস্তিতে তিনি প্রায় দু’লক্ষ টাকা রামপদকে দিয়েছিলেন। ঘাটাল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের কর্মী সত্য ঘোষ মারফতই রামপদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছিল। কিন্তু দেড় বছর হয়ে গেলেও চাকরি পাননি মৌসুমী। চাকরি না হওয়ায় টাকা ফেরত চেয়েছিলেন। তা-ও পাননি। এই অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হন গঙ্গেশ। হাই কোর্টে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চেও মামলা হয়। ভোটের আবহে এই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় হয় ঘাটালের রাজনীতি। সরাসরি দেবকে নিশানা করেন তাঁর প্রতিপক্ষ বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। শোরগোলের মধ্যেই শুক্রবার গঙ্গেশ দাবি করলেন, চাকরির জন্য দেওয়া টাকা ফেরত পেয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা আমি হাতে পেয়েছি। আমি খুবই খুশি। যে চ্যানেলে খবরটা সম্প্রচারিত হয়, তাদেরকেও ধন্যবাদ। বাড়ির সকলেই খুশি।’
কিন্তু টাকা ফেরত দিলেন কে? গঙ্গেশের দাবি, সত্য ঘোষই তাঁর টাকা ফেরত দিয়ে গিয়েছেন। মৌসুমীর স্বামী নির্মল হাজরাও বলেন, ‘‘সত্য ঘোষ আমাদের টাকা ফেরত দিয়ে গিয়েছে। আমাদের আর কোনও অভিযোগ নেই। আদালত থেকে মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি চলছে।’’
গঙ্গেশের টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে অবশ্য কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন রামপদ। তিনি বলেন, ‘‘আমি জানি না কার থেকে কে টাকা নিয়েছিল আর কে কাকে ফেরত দিয়েছে। আমার নাম করে কেউ কিছু করেছে কি না, সেটা জানব কী করে! ওই ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানা নেই।’’