প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
ব্রিগেডে ‘পাগলু ডান্স’ দেখেছিল ২১ জুলাইয়ের জনতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে, ২০১১ সালে। সেদিনের কুশীলব, টলিউড সাংসদ দেব তার তিন বছরের মাথাতেই তৃণমূলের সাংসদ হয়েছিলেন।
অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের আগে আবার আলোচনায় পাগলু ডান্স। এ বার সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে দেবের সেই জনপ্রিয় নাচের অ্যানিমেটেড ভিডিয়ো। তবে তৃণমূলের তারকা-সাংসদ দেব নন, সেখানে কুশীলব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী!
এক নেটব্যবহারকারীর তৈরি ২৮ সেকেন্ডের সেই অ্যানিমেনেড ভিডিয়োয় প্রধানমন্ত্রী মোদীয় আদলের এক ব্যক্তিকে মঞ্চে পাগলু ডান্স করতে দেখা গিয়েছে। আর মোদী স্বয়ং নিজের এক্স হ্যান্ডলে তা শেয়ার করেছেন! সেই সঙ্গে তাঁর সরস মন্তব্য— ‘‘আপনাদের সকলের মত আমিও নিজের নাচ দেখে মজা পেলাম। ভোটের মরসুমে এমন সৃজনশীলতা সত্যিই আনন্দের!’’
যদিও কৃষ্ণ নামে যে ব্যক্তির পোস্ট থেকে মোদী ওই ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন, আপাত ভাবে তাঁকে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচক বলেই মনে হচ্ছে। কারণ ভিডিয়োটি পোস্ট করে কৃষ্ণ লিখেছেন, ‘‘এই ভিডিয়োটি পোস্ট করার কারণে আমি জানি যে একনায়ক (দ্য ডিক্টেটর) আমাকে এর জন্য গ্রেফতার করবেন না।’’ এই পরিস্থিতিতে ভোটের বাজারে সামাজিক মাধ্যমে মোদীর ‘স্পোটিং স্পিরিট’ প্রশংসা কুড়োচ্ছে অনেকেরই।
আর সেই সঙ্গেই আলোচনায় আসছে ঠিক ওই ধাঁচের অ্যানিমেনেড ভিডিয়োও অন্য একটি গানে মুখ্যমন্ত্রী মমতার ছবি পোস্ট হওয়ার পরে রাজ্য প্রশাসনের প্রতিক্রিয়ার প্রসঙ্গ। ‘সোলজার্স স্যাফ্রন সেভেন’ নামে এক ব্যবহারকারীর ওই পোস্টের জবাবে সোমবারও কলকাতা পুলিশ তাঁর কৈফিয়ত চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছে। পাশাপাশি, ‘আগ্রাসী এবং অবমাননার’ পোস্টের অভিযোগে ব্যহকারকারীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপেরও কথা জানিয়েছে পুলিশ।
মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি করা যে ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়েছে সেই প্রসঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “আজ, নির্বাচন কমিশন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বারা নির্মিত জাল ভিডিয়ো সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে। কলকাতা পুলিশ সেই নির্দেশ পালন করার চেষ্টা করছে। ‘সাহেব’-এর অনুমোদিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ট্রোল কমিশনের কর্তৃত্ব হ্রাস করে দিচ্ছে।”