—প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে প্রথম পর্যায়ের ভোটে বুথে ওয়েবকাস্টিং (সরাসরি সম্প্রচার এবং নজরদারি) থেকে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের, তার ভিত্তিতেই পরের পর্যায়গুলিতে বিভিন্ন কেন্দ্রে কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) বা দ্রুত সাড়া দেওয়ার বাহিনী আরও মজবুত করায় জোর দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রের খবর, ভোটের দ্বিতীয় পর্যায়ে (২৬ এপ্রিল) রায়গঞ্জ পুলিশ জেলায় ৬০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে ৬০টি কিউআরটি দেওয়া হবে। ইসলামপুর পুলিশ জেলাতেও ৪১টি কোম্পানির সঙ্গে ৪১টি কিউআরটি থাকবে। দক্ষিণ দিনাজপুরে ৭৩টি কোম্পানি এবং ৭৩টি কিউআরটি, দার্জিলিংয়ে ৫১টি কোম্পানি এবং ৫০টি কিউআরটি, কালিম্পংয়ে ১৬টি কোম্পানি এবং ১৫টি কিউআরট এবং শিলিগুড়িতে ২১টি কোম্পানি এবং ২১টি কিউআরটি থাকবে।
এক-একটি কিউআরটিতে ৮জন করে আধা সেনার সঙ্গে রাজ্য পুলিশের এক জন অভিজ্ঞ অফিসারের থাকার কথা। আশু দরকারে ওই পুলিশ আধিকারিকই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পথ চিনিয়ে নিয়ে যাবে। সোমবার কমিশনের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিশ্চিত করেইছি, কিন্তু সেটাই সব নয়। সব ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছতেও সাহায্য করতে হবে।’’ এই জায়গাটিতেই পরের পর্যায়গুলিতে ফাঁক রাখতে চায় না কমিশন। প্রথম পর্যায়ে ওয়েবকাস্টিংয়ের সময়ে কলকাতার কন্ট্রোলরুমের আধিকারিকদের কিছু পদক্ষেপ করতে হয়। পরের পর্যায়ে সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হচ্ছে।
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩০৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটের শেষে আরও ১০৩ কোম্পানি বাহিনী চলে আসার কথা। কমিশন সূত্রে খবর, ঠিক হয়েছে তৃতীয় পর্যায়ের ভোটে মালদহ জেলায় ১৪৪ কোম্পানি বাহিনী, ১৪৩টি কিউআরটি, মুর্শিদাবাদে ১১৪টি কোম্পানি ও ১১৩টি কিউআরটি, জঙ্গিপুরে ৬৪ কোম্পানি ও ৬৩টি কিউআরটি, কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অংশে ১২কোম্পানি ও ১২টি কিউআরটি থাকবে।