(বাঁ দিকে) মালদহের হবিবপুর থানা। নির্বাচন কমিশনের দফতর (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
এ বার মালদহের হবিবপুর থানার আইসি (ইনস্পেক্টর-ইন-চার্জ)-কে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। তারা জানিয়েছে, ওই অফিসার ভোটের কাজে যুক্ত থাকতে পারবেন না। রবিবার বিকেল ৩টের মধ্যে ওই পদের জন্য তিন জনের নাম পাঠানোর কথা ছিল কমিশনের আঞ্চলিক দফতরের সিইওর । তাঁদের মধ্যে থেকে হবিবপুর থানার আইসি পদের জন্য অক্ষয় পালকে বেছে নিয়েছে কমিশন। তিনি কোচবিহারের কোর্ট ইনস্পেক্টর পদে এখন ছিলেন। কী কারণে আইসিকে অপসারণ করা হয়েছিল, তা যদিও জানায়নি কমিশন।
শুক্রবার কমিশনের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে কলকাতার আনন্দপুর থানা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার থানার ওসিকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়। ওই দুই পুলিশ আধিকারিককে নির্বাচনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নয়, এমন কোনও দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়। বিকল্প নামও চেয়ে পাঠানো হয়। সম্প্রতি বিজেপির তরফে ডায়মন্ড হারবারের ওসির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ তোলা হয়। তা ছাড়া ওই থানা এলাকায় কিছু দিন আগে দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। তা সামলানো নিয়ে পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন ওঠে। এই নিয়ে বিজেপি কমিশনের দ্বারস্থ হয়। অন্য দিকে, সম্প্রতি কসবা বিধানসভা এলাকার আনন্দপুরে বিজেপির এক মহিলা মণ্ডল সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূলের দিকে। একই সঙ্গে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলে পদ্মশিবির। এই ঘটনাগুলির সঙ্গে ওসি বদলের সম্পর্ক দেখছেন কেউ কেউ। কমিশন অবশ্য এই বিষয়ে কিছু জানায়নি।
কিছু দিন আগেই মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি মুকেশ কুমারকে সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন। তার পর রামনবমীতে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনার জেরে মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর এবং বেলডাঙা থানার দুই ওসিকে সাসপেন্ড করা হয়। এর আগে মার্চ মাসে রাজ্য পুলিশের ডিজি পদ থেকে রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যের চার জেলার জেলাশাসককে সরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। এই জেলাগুলি হল পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূম। কমিশন সূত্রে খবর, ওই চার জেলার জেলাশাসকেরা কেউই আইএএস ক্যাডারের অফিসার নন। তাঁরা ডব্লিউবিসিএস আধিকারিক।