Lok Sabha Election 2024

কম ভোট, কারণ খুঁজছে কমিশন

সেবার পটাশপুর-সহ জেলার বেশ কয়েকটি ব্লকের ভোট কেন্দ্রে ভোট দানের হার লক্ষ্যণীয় ভাবে কমে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটাশপুর শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:৩০
Share:

ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোটদানে উৎসাহ দিচ্ছেন বিডিও বিধানচন্দ্র বিশ্বাস। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যে ভোট দানের শতাংশের নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে থাকছে অনেক বুথ। ভোট দানে অনীহা কাটাতে সেই সব বুথ চিহ্নিত করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সরাসরি সেখানকার ভোটারদের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে। 'চুনাও কা পর্ব, দেশ কি গর্ব' কর্মসূচির মাধ্যমে বুথে গিয়ে ভোটাদের উৎসাহ বাড়াচ্ছে তারা, সেই সঙ্গে তাদের সমস্যার কথা শুনছেন বিডিও। ভোট দানে ভোটারদের অনীহার কারণ অনুসন্ধান করে দেওয়া হচ্ছে সমাধানের আশ্বাস।

Advertisement

পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই রাজ্যে ভোট দানের হার নব্বই শতাংশের উপর ছিল। কিন্তু সেবার পটাশপুর-সহ জেলার বেশ কয়েকটি ব্লকের ভোট কেন্দ্রে ভোট দানের হার লক্ষ্যণীয় ভাবে কমে যায়। পটাশপুর-১ ব্লকের একাধিক কেন্দ্রে ভোটদানের হার স্বাভাবিকের তুলনায় কুড়ি শতাংশের কম ছিল। জাতীয় নির্বাচন কমিশন পটাশপুরের এই রকম ১১টি বুথের তালিকা তৈরি করেছে। এখানে ভোট দান ৭১ শতাংশের আশপাশে ছিল। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে রাজনৈতিক সন্ত্রাস ভোটদানে বিরত থাকার বড় কারণ বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন। তবে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে এ বার মাঠে নামল জাতীয় নির্বাচন কমিশন।

তথ্য অনুসন্ধানে ভোটারদের সঙ্গে দেখা করতে কমিশনের প্রতিনিধিরা পৌঁছে গেলেন। কম ভোটদানযুক্ত বুথের এলাকায় গিয়ে সরাসরি ভোটাদের সঙ্গে কথা বলছেন বিডিও। পটাশপুরে নরপদা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৩৭ নম্বর ভোট কেন্দ্রে সব থেকে কম ভোট (৭১.৮০ শতাংশ) ভোট পড়েছিল। শ্যামখোলা এনসিএলপি প্রাথমিক ভোট কেন্দ্রে ৮১.০৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ওই সব বুথে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে ভোটে অনীহার কারণ অনুসন্ধান করলেন বিডিও বিধানচন্দ্র বিশ্বাস। অনীহার পিছনে ভোট সন্ত্রাস দায়ী নাকি কর্মসূত্রে অনেকের ভিন রাজ্য বা দেশে থাকাটাই কারণ, তা খোঁজ নিলেন। আইনশৃঙ্খলাগত সমস্যা থাকলে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হল ভোটারদের।

Advertisement

ভোট দানের অনীহার পিছনে পরিযায়ী শ্রমিকের বাইরে থাকা অনেকাংশে দায়ী বলে প্রমাণ মিলেছে। ভোটদানে পিছিয়ে পড়া বুথগুলির অধিকাংশতে সংখ্যালঘু ভোটার বেশি। কর্মসূত্রে তাঁরা মূলত বাইরে থাকেন। ভোটের সময় নিজেদের কাজ ও অর্থ নষ্ট করে তাঁরা গ্রামে ফিরতে চান না বলে জানা গিয়েছে। যদিও ব্লক প্রশাসনের তরফে দেশের গণতন্ত্রের উৎসবে কর্মস্থল থেকে এসে ভোট দানের আবেদন জানানো হয় পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের আত্মীয়স্বজনদের।

পটাশপুর-১ বিডিও বিধানচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘‘যে সব বুথে শতাংশের নিরিখে ভোট কম পড়েছে নির্বাচন কমিশন নির্দেশে বিশেষ কর্মসূচি মাধ্যমে ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা হচ্ছে। তাদের সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি ভোট দানে তাঁদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement