Lok Sabha Election 2024

নিশীথ-উদয়নের জেলায় বিশেষ নজর কমিশনের, মঙ্গলেই উত্তরে যাচ্ছেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক

প্রথম দফার ভোটে কোচবিহারে বাড়তি নজর রাখার কথা আগেই জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ২০:৩৪
Share:

নিশীথ প্রামাণিক এবং উদয়ন গুহ। —ফাইল চিত্র।

প্রথম দফার ভোটে কোচবিহারে বাড়তি নজর রাখার কথা আগেই জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এ বার কোচবিহার থেকেই প্রথম দফার ভোটে নজরদারি করবেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক অনিলকুমার শর্মা। কমিশন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন। কোচবিহার থেকে প্রথম দফার ভোটে নজরদারি করবেন তিনি। ওই কেন্দ্রের স্পর্শকাতর বুথগুলি তাঁর ঘুরে দেখার কথা রয়েছে। কয়েকটি উত্তেজনাপ্রবণ এলাকাতেই যেতে পারেন পুলিশ পর্যবেক্ষক।

Advertisement

কমিশনের বক্তব্য, প্রথম দফার তিনটি আসনে আপাতত আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কোচবিহার থেকে বেশ কিছু অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসছে। তাই ওই কেন্দ্র নিয়ে বাড়তি সতর্কতা রাখা হচ্ছে।

১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ভোট রয়েছে। শনিবার জেলাগুলির জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করেছে কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হয়েছে পর্যাপ্ত। সব বুথে থাকবে সেই বাহিনী। ফলে কোনও অশান্তির ঘটনা যাতে না ঘটে, নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে তা নিশ্চিত করতে হবে জেলা-কর্তাদের। ভোটের দিন প্রতি ঘণ্টায় রিপোর্ট পাঠাতে হবে কমিশনকে। কমিশনের সূত্রের দাবি, অভিযোগের সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে কোচবিহারই। ফলে সেই জেলাকেই তারা তুলনায় বেশি সংবেদনশীল বলে মনে করছে। তাই সেই জেলা প্রশাসনকে বাড়তি সতর্ক করা হয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, অতীতে একাধিক বার কোচবিহারকে উত্তপ্ত হতে দেখা গিয়েছিল। গত বিধানসভা ভোটে শীতলখুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। এ দিকে, শুক্রবার কোচবিহারে গোলমাল হলে বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সমালোচনার নিশানা করেছেন সেখানকার প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশকেও। বাহিনী মোতায়নের পরিকল্পনাতেও তুলনায় বেশি জোর পড়েছে কোচবিহারের উপর। ওই জেলায় ১১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও সাড়ে চার হাজার রাজ্য পুলিশ মোতায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাকি দু’টি জেলার তুলনায় ওই সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ারে ৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে থাকবে ২৪৫৪ জন রাজ্য পুলিশকর্মী। জলপাইগুড়িতে ৭৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ৩০৭৭ জন রাজ্য পুলিশ মোতায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement