শাহজাহান শেখ। —ফাইল চিত্র।
সন্দেশখালিতে বেআইনি ভাবে জমি দখলের মামলায় শাহজাহান শেখের ভাই সিরাজউদ্দিন শেখকে ফের তলব করল ইডি। সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হল শাহজাহানের আরও কয়েক জন আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদেরও।
ইডি সূত্রে খবর, সিরাজকেও আগেও ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি তদন্তকারী আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হননি। সাড়া দেননি সিবিআইয়ের ডাকেও। এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়। সিরাজ ও শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি তলব করা হয়েছে ধৃত শিবপ্রসাদ (শিবু) হাজরার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদেরও। শিবু শাহজাহানেরই শাগরেদ বলে পরিচিত। সন্দেশখালিতে জমি দখল ও ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় তাঁকেও গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহজাহানের ব্যাঙ্কের নথি, জমি লিজ়ের কাগজপত্র খতিয়ে দেখতে গিয়ে এবং ধৃতদের বয়ানে যে সব নাম উঠে এসেছে, তাঁদেরই তলব করা হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, দ্বীপ এলাকা সন্দেশখালির সরবেড়িয়া, ধামাখালি-সহ বেশ কিছু এলাকায় সব মিলিয়ে হাজার বিঘা জমি লিজ় নিয়েছিলেন শাহজাহান। তবে স্বনামে নয়। অনেকের নাম ব্যবহার করে ওই জমি লিজ় নিয়েছিলেন সন্দেশখালির সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল নেতা। তার তদন্তেই সিরাজ ও শিবুদের নাম উঠে এসেছে।
শাহজাহানের বিরুদ্ধে ইডির তরফে দু’টি ইসিআইআর (এনফোর্সমেন্ট কেস ইনভেস্টিগেশন রিপোর্ট) রয়েছে। একটি রেশন বণ্টন দুর্নীতি এবং আর একটি বেআইনি ভাবে জমি দখল ও মাছ চাষ। এমনকি মাছ আমদানি-রফতানির মাধ্যমে বিদেশে কোটি কোটি টাকা বেআইনি লেনদেনের মামলাও রয়েছে। ইডি সূত্রের দাবি, মূলত আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের নামেই জমি লিজ় নিতেন শাহজাহান। তাঁরা অবশ্য কেউই খুব বড় মাপের ব্যবসায়ী নন। শাহজাহান শুধু তাঁদের নামটুকু ব্যবহার করতেন। সেই সব ব্যক্তিদের নামেই জমির লেনদেন হত। তদন্তকারীদের ওই সূত্রের দাবি, সেই সব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই শাহজাহান ও শিবুর আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের ডেকে পাঠানো হয়েছে।