Lok Sabha Election 2024

ভোটে অর্থ এবং মাদকের প্রভাব ঠেকাতে ২০টি সংস্থাকে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের

আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে কমিশনের নির্দেশ, অবৈধ নগদ, মদ, মাদক, সোনা, জাল অর্থ ইত্যাদির উৎস বন্ধ করে দিতে হবে। শুধু এ সবের সঙ্গে যুক্তরাই নয়, পদক্ষেপ করতে হবে মূল মাথাদের বিরুদ্ধেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৪ ০৬:৫৫
Share:

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। ছবি: পিটিআই।

ভোটে অবৈধ অর্থ, মদ-মাদকের প্রভাব ঠেকাতে ইডি, আয়কর-সহ কেন্দ্র-রাজ্যের প্রায় ২০টি সংস্থাকে কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধ টাকার লেনদেনে নজর রাখবে ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)। বিভিন্ন দুর্নীতির তদন্তে রাজ্যে যখন কেন্দ্রীয় একাধিক সংস্থা সক্রিয়, তখন এ ভাবে সংঘবদ্ধ ভাবে এতগুলি সংস্থাকে নজরদারির দায়িত্ব দেওয়াকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন প্রশাসনিক বিশ্লেষকদের অনেকে।

Advertisement

এই তিনটি সংস্থা ছাড়াও রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক, কেন্দ্র জিএসটি এবং শুল্ক, সিআইএসএফ, ব্যুরো অব সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিয়োরিটি, এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া, ডাক বিভাগ, নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো, এসএসবি এবং বিএসএফ, উপকূল রক্ষা বাহিনী, রেল এবং আরপিএফ, রাজ্য পুলিশ, রাজ্য আবগারি, রাজ্য জিএসটি, রাজ্য পরিবহণ, রাজ্য অসামরিক প্রতিরক্ষা, স্টেট লেভেল ব্যাঙ্কার্স কমিটি, বন দফতর নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে কাজ করবে।

প্রতিটি ভোটেই অবৈধ অর্থ উদ্ধারের প্রক্রিয়া চালায় নির্বাচন কমিশন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাচ্ছে, এই রাজ্যের ২০১৪ সালের ভোটে প্রায় ১৯ কোটি, ২০১৬ সালে ৪৪ কোটি, ২০১৯ সালে ১১৮ কোটি এবং ২০২১ সালে প্রায় তিনশো কোটি অবৈধ অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।

Advertisement

আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে কমিশনের নির্দেশ, অবৈধ নগদ, মদ, মাদক, সোনা, জাল অর্থ ইত্যাদির উৎস বন্ধ করে দিতে হবে। শুধু এ সবের সঙ্গে যুক্তরাই নয়, পদক্ষেপ করতে হবে মূল মাথাদের (কিং-পিন) বিরুদ্ধেও। রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের শেষে মঙ্গলবার দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, ‘‘হিংসা এবং অর্থের প্রভাবের
কোনও জায়গা নেই। কমিশন নিশ্চিত করবে, ভোটারকে অধিকার প্রয়োগ করতে যেন ভয় পেতে না হয়। এটা প্রতিষ্ঠা করতে কমিশন বদ্ধপরিকর।’’

রাজীব কুমারের আরও সংযোজন, ‘‘পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের বলে দেওয়া হয়েছে, থানা, রাজস্ব (রেভিনিউ) কর্মী-সহ বাকিদের যা কাজ বরাদ্দ রয়েছে, তা করতে হবে। এ দিক-ও দিক করা যাবে না। এটার বিচ্যুতি হলে দায়বদ্ধ করা এবং পদক্ষেপ হবে।’’

সোমবার স্বীকৃত সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছিল কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সেখানে অনেক কিছুর মধ্যে ভোটে ভয়-ভীতি, প্রলোভন দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ ছিল অন্যতম। ঘটনাচক্রে, এ দিন কমিশন জানিয়েছে, অন্য রাজ্যের সঙ্গে থাকা সীমানা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকাতে বিশেষ নজরদারি থাকবে। নজরে রাখা হবে বিমানবন্দর বা হেলিপ্যাডগুলির উপরেও। চার্টার্ড বিমানের পণ্যও নজরদারির আওতার বাইরে থাকবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement