জাতীয় নির্বাচন কমিশন। — ফাইল চিত্র।
কোনও রাজনৈতিক দলের তারকা প্রচারক আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট দলের স্বীকৃতি এবং ভোট প্রতীক বাজেয়াপ্ত করার জন্য পদক্ষেপ শুরু করছে নির্বাচন কমিশন, সোমবার নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত খবরে এই দাবি করা হয়েছে।
ওই খবরে বলা হয়েছে, গত ১ মার্চ কমিশনের তরফে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং তাদের প্রার্থী ও তারকা প্রচারকের উদ্দেশে যে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ঘোষণা করা হয়েছিল, তা যাতে কঠোর ভাবে অনুসরণ করা হয়, সে জন্য এ বার সক্রিয় হতে চলেছে কমিশন। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যের জেলাশাসকদের (যাঁরা পদাধিকার বলে সংশ্লিষ্ট জেলার নির্বাচনী আধিকারিক) ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে প্রকাশিত খবরে দাবি।
কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কোনও রাজনৈতিক দল যদি তার তারকা প্রচারকদের নির্বাচনী বিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়, তা হলে নির্বাচনী প্রতীক (সংরক্ষণ ও বরাদ্দ) আদেশ, ১৯৬৮-এর ধারা ১৬-এ ধারায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যার ফলে সংশ্লিষ্ট দলের স্বীকৃতি বাতিল হতে পারে। ‘ফ্রিজ’ হতে পারে নির্বাচনী প্রতীক।
প্রসঙ্গত, ১ মার্চের ওই নির্দেশিকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, প্রার্থী এবং তারকা প্রচারকদের জন্য মোট আটটি আচরণবিধির কথা উল্লেখ করেছে নির্বাচন কমিশন। সেগুলি হল—
১। ভোটের প্রচার চলাকালীন এমন কোনও মন্তব্য বা আচরণ করা যাবে না, যার ফলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে অশান্তি বা হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।
২। কারও সমালোচনা করতে হলে, কার্যকলাপ ও নীতির মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। কারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমালোচনা করা যাবে না।
৩। ভোটারদের বিভ্রান্ত করতে ভুয়ো কোনও তথ্য দেওয়া যাবে না ভাষণে। কোনও রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা যাবে না।
৪। কোনও ধর্মীয় স্থানকে প্রচারের মঞ্চ বানানো যাবে না। ভোট আদায়ের জন্য জাত বা ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগানো যাবে না।
৫। রাজনৈতিক দলের প্রচারে যাতে কোনও ভাবেই নারীদের সম্মান ও মর্যাদা নষ্ট না হয়, তা মাথায় রাখতে হবে।
৬। ভিত্তিহীন বা ভুয়ো বিজ্ঞাপন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না।
৭। খবরের মোড়কে কোনও বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা যাবে না।
৮। সমাজমাধ্যমে এমন কিছু পোস্ট বা শেয়ার করা যাবে না, যা আপত্তিকর এবং রুচিহীন।