—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে দেশের ২৭টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে কবে, শনিবার তা-ও জানিয়ে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই ২৭টি কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ভগবানগোলা এবং বরাহনগরও। তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলির মৃত্যুতে ভগবানগোলা কেন্দ্রটিতে উপনির্বাচন হচ্ছে। ত ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হন তিনি। তার পর থেকে ওই আসনটি ফাঁকা রয়েছে। অন্য দিকে, সম্প্রতি বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে এবং তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন তাপস রায়। তাঁর ইস্তফার কারণে বরাহনগরেও উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে।
শনিবার কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণের দিন, অর্থাৎ ৭ মে ভগবানগোলাতেও উপনির্বাচন হবে। বরাহনগরে ভোট হবে, লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম দফার ভোটগ্রহণের দিন—১ জুন। ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণার দিনই এই দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফল ঘোষিত হবে।
দলীয় হুইপ অমান্য করে হিমাচল বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর সরকারের বাজেট প্রস্তাব সংক্রান্ত অর্থবিলের পক্ষে ভোট না-দেওয়ার কারণে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ‘দলত্যাগ বিরোধী আইনে’ হিমাচল বিধানসভার স্পিকার কুলদীপ সিংহ পঠানিয়া বিদ্রোহী ছ’জন বিধায়কের পদ খারিজ করেছিলেন। ওই ছয় বিধায়কের কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হবে আগামী ১ জুন। এই কেন্দ্রগুলি হল লাহুল-স্পিতি, সুজনপুর, ধরমশালা, বারসার, গগরেট এবং কুটলেহা।
লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই উপনির্বাচন হবে বিহারের একটি, গুজরাতের পাঁচটি, হরিয়ানার একটি, ঝাড়খণ্ডের একটি, মহারাষ্ট্রের একটি, ত্রিপুরার একটি, উত্তরপ্রদেশের চারটি আসনে। উপনির্বাচন হবে তেলঙ্গানা, রাজস্থান, কর্নাটকের একটি আসন এবং তামিলনাড়ুর দু’টি আসনেও।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
কিছু দিন আগেই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন হরিয়ানার সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। চলতি লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। প্রবীণ এই বিজেপি নেতা পদত্যাগ করায় সে রাজ্যের কারনাল কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি একটি পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তেলঙ্গানার তরুণী বিধায়ক লাস্য নন্দিতার। এই বিআরএস নেত্রীর অকালপ্রয়াণে উপনির্বাচন হচ্ছে তাঁর কেন্দ্র সেকেন্দ্রাবাদ ক্যান্টনমেন্টে। ত্রিপুরার প্রবীণ বিজেপি বিধায়ক সুরজিত দত্তের মৃত্যুতে সে রাজ্যের রামনগর কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে আগামী ১৯ এপ্রিল।
নিয়ম অনুযায়ী, মেয়াদ পূরণের আগেই লোকসভা সাংসদ, বিধানসভার বিধায়ক পদত্যাগ করলে বা মারা গেলে, কিংবা কোনও কারণে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রটিতে জনপ্রতিনিধি না থাকলে ছ’মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হয়।