মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলির সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ছবি: পিটিআই।
নয়াদিল্লির ভারতমণ্ডপমে জি২০ শেষ হওয়ার পর থেকেই কানাডার সঙ্গে সম্পর্কে অধোগতি সাউথ ব্লকের। তবে লোকসভা ভোটের আগে কানাডা এবং আমেরিকার সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক রাখা মোদী সরকারের অগ্রাধিকারের মধ্যেই পড়ে বলে মনে করছে রাজনৈতিক শিবির। সেই কূটনৈতিক দৌত্যের অংশ হিসাবে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানি জোলির সঙ্গে বৈঠক করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
এই সম্মেলনে গিয়েছেন আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং ব্রিটেনের বিদেশসচিব ডেভিড ক্যামেরন। সকলের সঙ্গেই আলোচনা করেছেন জয়শঙ্কর।
খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যা নিয়ে সংঘাত চলছিলই ভারত-কানাডার মধ্যে। এর মধ্যেই সে দেশের নির্বাচনে নাক গলানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে। যা নিয়ে উত্তাপ বেড়েছে। এ হেন পরিস্থিতিতে সম্মেলনে জয়শঙ্কর-মেলানি বৈঠক হল। বিদেশমন্ত্রী জানান, ‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি নিয়েও মত বিনিময় হয়েছে।’ কানাডার বিদেশমন্ত্রীও এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘কানাডা এবং ভারতের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। রাশিয়ার বেআইনি ভাবে ইউক্রেনে হামলা-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়েও কথা হয়েছে।”
সূত্রের খবর, কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপের যে অভিযোগ ভারতের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, বৈঠকে তাকে যুক্তি দিয়ে মোকাবিলা করেছেন জয়শঙ্কর। ভারত-কানাডা সম্পর্কের চিড় যাতে চওড়া না হয় এবং এর প্রভাব যেন নাগরিকদের উপর না পড়ে, তা নিশ্চিত করার দিকে জোর দেওয়া হয়েছে।
গত বছর গণমাধ্যমে কিছু গোয়েন্দা নথি ফাঁস হওয়ার ভিত্তিতে অভিযোগ ওঠে, কানাডার নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছিল চিন। তদন্তের নির্দেশ দেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তদন্ত শুরু করে সে দেশের ফেডারেল কমিশন। তদন্তের সূত্র ধরে ওঠে ভারতের নামও। ২০১৯ ও ২০২১ সালে নির্বাচন ভারত প্রভাবিত করেছে কি না, তা যাচাই করতে কানাডা সরকারের পক্ষ থেকে নথিও জমা দেওয়া হয়।