এই সপ্তাহের দিঘায় নাও দেখা যেতে পারে এই দৃশ্য। —নিজস্ব চিত্র।
সপ্তাহান্তে দিঘা ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে সে গুড়ে বালি। কারণ, শুক্র ও শনিবার— এই দু’দিন দিঘার সমস্ত হোটেলে বুকিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠন। আগামী ২৫ মে লোকসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফায় পূর্ব মেদিনীপুরের দুই কেন্দ্র কাঁথি ও তমলুকে ভোট। সেই কারণেই হোটেল বুকিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভোট চলাকালীন বহিরাগতদের আনাগোনা ঠেকাতেই এই সিদ্ধান্ত।
দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “লোকসভা ভোট নিয়ে তাপ-উত্তাপ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দিঘার হোটেলে পর্যটকদের আনাগোনা বিপুল পরিমাণে হলে তা প্রশাসনিক স্তরে সমস্যা তৈরি করতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দিঘার হোটেলে পুলিশের আনাগোনাও বেড়ে যেতে পারে। সব দিক খতিয়ে দেখেই হোটেল ব্যবসায়ীদের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” তিনি আরও জানান, যে সমস্ত পর্যটক আগাম বুকিং করেছেন তাঁরা দিঘায় আসতে পারেন। তবে অতিরিক্ত ভিড় না বাড়ানোই শ্রেয়। ভোটপর্ব চলাকালীন গোটা জেলা জুড়েই পুলিশি প্রহরা ব্যাপক আকারে থাকবে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশের নাকা চেকিং থাকছে। এই পরিস্থিতিতে প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে দিঘার পথে যেতে গেলে পর্যটকদের অযথা পুলিশি হয়রানির মুখেও পড়তে হতে পারে। তিনি এ-ও বলেন, “ভোটপর্ব চলাকালীন রাস্তায় গাড়ির পরিমাণ অনেকটাই কম থাকবে। দোকানবাজার অন্য দিনের তুলনায় অনেকটাই কম খোলা থাকবে। সব মিলিয়ে শুক্র ও শনিবার দিঘায় এসে অযথা সমস্যার মুখে যাতে পর্যটকদের পড়তে না হয় সেই কারণেই এই দু’দিন হোটেল বুকিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
ভোটপর্বের মাঝে আবহাওয়ার ভ্রুকুটিও দুশ্চিন্তায় রেখেছে স্থানীয় প্রশাসনকে। কাঁথির মহকুমাশাসক শৌভিক ভট্টাচার্য বলেনন, “আবহাওয়ার গতিবিধির উপর নজরদারি রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে সমুদ্র উপকূলবর্তী বুথগুলিতে বৃষ্টির জন্য ভোটগ্রহণ যাতে বিঘ্নিত না হয়ে সে দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। যে সমস্ত বুথে ছাদ, দেওয়াল বা অন্যান্য জায়গায় সমস্যা ছিল সেগুলিকে দ্রুত মেরামতি করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ভোটের কাজে যুক্ত কর্মী ও আধিকারিকেরা প্রতিনিয়ত বুথগুলিতে নজরদারি করছেন। আবহাওয়ার অবনতির কারণে কোথাও ভোটগ্রহণে যাতে সমস্যা তৈরি না হয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।”