মণীশরঞ্জন মিশ্রের পরিজনদের সঙ্গে কথা বলছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সঞ্জয় শেঠ। নীচে ধিক্কার মিছিল ঝালদার রাস্তায়। ছবি: দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়
আর অপেক্ষা নয়। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর পদক্ষেপ করুক সরকার। শুক্রবার প্রতিরক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা ঝাড়খণ্ডের রাঁচীর সাংসদ সঞ্জয় শেঠকে সামনে পেয়ে এমনই দাবি জানালেন পহেলগামের বৈসনরে জঙ্গিদের গুলিতে নিহত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা আধিকারিক মণীশরঞ্জন মিশ্রের পরিবার। এ দিন বিকেলে ঝালদা শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পুরনো বাঘমুণ্ডি রোড এলাকায় মণীশরঞ্জনের বাড়িতে যান মন্ত্রী। দেখা করেন তাঁর পরিজনদের সঙ্গে। সঙ্গে ছিলেন পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সভাপতি শঙ্কর মাহাতো ও দলের স্থানীয় নেতৃত্ব।
কথাবার্তার মাঝে মণীশরঞ্জনের ভাই রাহুলরঞ্জন মন্ত্রীকে বলেন, “অনেক হয়েছে। আর অপেক্ষা নয়। জঙ্গিদের দমন করা এখন থেকে শুরু হোক।” কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলে মন্ত্রী তাঁকে আশ্বাস দেন। ঘটনায় জড়িতদের কাউকেই রেয়াত করা হবে না বলেও জানান তিনি। এ দিন মণীশরঞ্জনের স্ত্রী জয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও স্কুলে চাকরির আর্জি জানায় পরিবার। মন্ত্রীকে জয়ার বাবা জয়শঙ্কর মিশ্র বলেন, “দুই নাবালক ছেলেমেয়েকে বড় করে তোলা সহজ নয়। সংসারের হাল ধরতে একটি চাকরি ভীষণই প্রয়োজন। জয়া উচ্চশিক্ষিতা। আপনি একটু দেখুন।” ঘাড় নেড়ে মন্ত্রী তাঁকে আশ্বস্ত করলেও সংবাদমাধ্যমের কাছে কিছু বলতে চাননি। শুধু বলেন, “ওঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা পরিবারের পাশে আছি।”
এ দিন সকালে ঝাড়খণ্ডের কৃষিমন্ত্রী নেহা তির্কিও এক দলীয় বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে মণীশরঞ্জনের বাড়িতে যান। তাঁর কাছেও ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়। জয়ার অবস্থা এ দিনও স্বাভাবিক ছিল না। মাঝেমধ্যে ডুকরে কেঁদে উঠছেন। কখনও ছেলেমেয়েদের বুকে জড়িয়ে শোক ভোলার চেষ্টা করছেন। পড়শি রেখা সিংহ, মঞ্জু ওরাং বলেন, “আচমকা ওই পরিবারে বড় বিপদ নেমে এসেছে। পড়শি হিসাবে ওঁদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।”
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে