—প্রতীকী ছবি।
ভোট-আবহে রাজ্যে সীমান্ত পেরিয়ে চোরাই সোনা পাচারের একটি চেষ্টা ফাঁস হওয়ায় ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স বা রাজস্ব গোয়েন্দা অধিকরণের কলকাতার আঞ্চলিক ইউনিট তদন্তে নেমেছে। এ ছাড়া শুল্ক দফতরের বিশেষ তদন্ত ও গোয়েন্দা শাখা (স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ বা এসআইআইবি) দফতরও কলকাতার উত্তর বন্দর থানা এলাকায় বিপুল মাদক উদ্ধার করে। ভোটের সময়ে রাজ্যে এই ধরনের গোলমেলে চোরাই লেনদেন ও পাচার নিয়ে রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট পেশ করে।
গত ১৬ মার্চ দেশে লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট জারি হওয়ার পর থেকেই কেন্দ্র ও রাজ্যের ২২টি সংস্থা ভোট প্রভাবিত করার যে কোনওরকম চেষ্টা রুখতে নাগাড়ে রাজ্য জুড়ে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। নগদ, মদ, মাদক, সোনাদানা উদ্ধারও চলছে। এর মধ্যে নদিয়া ও কলকাতার দু’টি ঘটনায় সাড়া পড়েছে। সিইও-র দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের সময়ে রানাঘাট এলাকার গেদে স্টেশনে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার সোনা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। প্রধানত, মহিলারা সোনা লুকিয়ে ঢোকার সময়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে ধরা পড়েন। তিন জন মহিলা ও এক জন পুরুষকে বিএসএফ আটক করেছে। তাঁদের গ্রেফতার করে তদন্তের জন্য ডিআরআই-এর দফতরে পাঠানো হয়েছে। সাত কেজির বেশি সোনা, যার আনুমানিক মূল্য চার কোটি ৬৯ লক্ষ এক হাজার ৪২১ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর পিছনে একটি চক্র রয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন ডিআরআই-এর গোয়েন্দারা। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বিশদে তদন্ত করছেন।
পাশাপাশি, উত্তর বন্দর এলাকায় শুল্ক দফতরে একটি পার্সেল খতিয়ে দেখার সময়ে বিপুল পরিমাণে মাদকের হদিস মেলে। সিইও-র দফতর জানায়, দু’কোটি ন’লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার ৪১৮৯টি নানা রঙের মাদক ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। শুল্ক দফতরের এসআইআইবি (বন্দর) শাখা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। গত ১৬ মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত ১৪৭.১৯ কোটি টাকার বেআইনি নগদ, মদ, মাদক, সোনাদানা ও অন্য সামগ্রী রাজ্যে উদ্ধার হয়েছে বলে সিইও দফতর সূত্রে প্রকাশ। এর মধ্যে সাত কোটি ৮৭ লক্ষ টাকার নগদ, ৩৩ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকার মদ, ১৮ কোটি ২৮ লক্ষ টাকার বেআইনি মাদক, ২৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকার সোনাদানা এবং ২৪ কোটি ১৩ লক্ষ টাকার অন্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।
অন্য দিকে, জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নামে একটি ভুয়ো নির্দেশিকা নিয়ে পিআইবি ফ্যাক্টচেকের তরফে এক্স হ্যান্ডলে সতর্ক করা হয়েছে। ভুয়ো নির্দেশিকাটিতে ভোটকেন্দ্র এবং আশপাশে ইন্টারনেটের ব্যবহার নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ভোটযন্ত্রের ১০০ মিটারের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে যা ভুয়ো বলে কমিশন ব্যাখ্যা করেছে।