জোট-বৈঠকের পর এমকে স্ট্যালিন, কেসি বেণুগোপাস-সহ অন্য কংগ্রেস এবং ডিএমকে নেতারা। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।
লোকসভা ভোটের আগে তামিলনাড়ু এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরিতে আসন বোঝাপড়া চূড়ান্ত করে ফেলল ডিএমকে এবং কংগ্রেস। গত লোকসভা ভোটের সূত্র মেনে এ বারেও তামিলনাড়ুতে কংগ্রেসকে ৯টি আসন ছেড়েছে ডিএমকে। পুদুচেরির একটি মাত্র আসনও কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে দিয়েছে এমকে স্ট্যালিনের দল।
শনিবার সন্ধ্যায় জোট নিয়ে বৈঠকে বসেন ডিএমকে প্রধান তথা তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিন এবং তামিলনাড়ুর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কে সেলভাপেরুনথাগাই। বৈঠকে এআইসিসির তরফে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল এবং অজয় কুমার। পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে বেণুগোপাল বলেন, “কংগ্রেস তামিলনাড়ুর ৯টি এবং পুদুচেরির একটি আসনে লড়াই করবে। বাকি আসনগুলিতে ডিএমকে এবং অন্য সহযোগী দলগুলিকে সমর্থন করবে।” তার পরই তিনি বলেন, “আমরা ৪০টি আসনেই জিতব।”
ডিএমকে আগেই তামিলনাড়ুর একটি আসন ভাইকোর দল এমডিএমকে-র জন্য ছেড়ে দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা স্থির হয়েছে, ডিএমকে এবং কংগ্রেসের সমর্থনে সিপিএম, সিপিআই আর দলিত সংগঠন ভিসিকে লড়াই করবে দু’টি করে আসনে। ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ এবং কেডিএমকে— এই দু’টি আঞ্চলিক দল লড়াই করবে একটি করে আসনে। জোটে থাকলেও লোকসভা ভোটে লড়ছে না অভিনেতা-রাজনীতিক কমল হাসনের দল ‘মাক্কাল নেধি মইয়ম’ (এমএনএম)। জোটের শর্ত অনুযায়ী, ২০২৫ সালে তামিলনাড়ুর একটি রাজ্যসভা আসনে কমলের দলের প্রার্থীকে সমর্থন জানাবে ডিএমকে এবং কংগ্রেস।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ডিএমকে নেতৃত্বাধীন ন’টি দলের জোটের অন্যতম শরিক ছিল কংগ্রেস। দাক্ষিণাত্যের ওই রাজ্যের ৩৯টি লোকসভা আসনের মধ্যে ৩৮টিতেই জিতেছিল ওই জোট। বিজেপির তৎকালীন সহযোগী এডিএমকে জিতেছিল একটি আসনে। বছর কয়েক আগেই বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ ছেড়েছে এডিএমকে। দলের একমাত্র সাংসদ আর রবীন্দ্রনাথকে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে বহিষ্কার করেছেন এডিএমকে প্রধান ইকে পলানীস্বামী।
পাঁচ বছর আগে, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ডিএমকে ২০, কংগ্রেস ন’টি আসনে লড়েছিল। সিপিএম, সিপিআই এবং দলিত সংগঠন ভিসিকে লড়েছিল দু’টি করে লোকসভা কেন্দ্রে। ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, এমডিএমকে, আইজেকে এবং কেএমডিকের ভাগে পড়েছিল একটি করে আসন। একমাত্র থেনি আসনটিতে হেরেছিলেন ডিএমকে নেতৃত্বাধীন জোটের কংগ্রেস প্রার্থী।