Dilip Ghosh

‘বাংলা খাও, জয় বাংলা বলো’! তৃণমূলকে কটাক্ষ করে দিলীপ বললেন, ‘আমার ভাষাশিক্ষিকা মমতা’

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘কী করে ভদ্রলোকেদের অপমান করতে হয়, কী করে বড় নেতাদের নাম নিয়ে অপমান করতে হয়, উনিই শিখিয়েছেন!’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:২৩
Share:

দিলীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।

নির্বাচন কমিশনের শো-কজ়, দলের ‘সাবধানবাণী’ রয়েছে। তবে দিলীপ আছেন দিলীপেই। এ বার তৃণমূল এবং তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া আক্রমণ করে পাল্টা কটাক্ষ শুনলেন দিলীপ ঘোষ। বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর মন্তব্য, ‘‘বাংলা খাও, জয় বাংলা বলো আর বিরোধীদের ঝান্ডা খোলো— মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের এটাই কালচার।’’ পাল্টা দিলীপকে তোপ দেগেছে তৃণমূলও।

Advertisement

বুধবার প্রাতর্ভ্রমণে শাঁখারিপুকুর বিবেকানন্দ সেবক সংঘের মাঠে যান বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। চা চক্র থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতার উদ্দেশে বলেন, ‘‘ওঁর ভাষা তো আমরা মুখস্থ করেছি। উনিই তো আমাদের ‘টিচার’। কী করে ভদ্রলোকেদের অপমান করতে হয়, কী করে বড় নেতাদের নাম নিয়ে বড় নেতাদের অপমান করতে হয়, উনিই শিখিয়েছেন!’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিকে বদনাম করেছেন উনি। বাঙালিকে বদনাম করেছেন। বিরোধীদের কী ভাবে ‘কেস’ দিতে হয়, শায়েস্তা করতে হয়, উনিই শিখিয়েছেন। এ নিয়ে দলের নেতাদের উনি ‘ট্রেনিং’ দিয়েছেন।’’

এসএসসি মামলার রায় নিয়েও মন্তব্য করেন দিলীপ। তাঁর দাবি, পুরো দুর্নীতি হয়েছে তৃণমূল নেতাদের ছত্রছায়ায়। তাই ওই নেতাদের জামার কলার ধরে টাকা ফেরত নিতে হবে চাকরি খোওয়ানো যুবকদের। বিজেপি নেতার কথায়, ‘‘যাঁদের চাকরি গিয়েছে, তাঁরা সামনে এসে বলুন, বিজেপি কর্মীরা বাড়ি থেকে বার করে নিয়ে চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড় করাবে ওই নেতাদের।’’ এসএসসি রায় নিয়ে ভাতারের নির্বাচনী সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, হাই কোর্টের উচিত ছিল কোনও ভুল হয়ে থাকলে সংশোধনের সুযোগ দেওয়া। তা নিয়ে দিলীপের খোঁচা, ‘‘এক জন ৭০-৭৫ বছরের মহিলা সারা জীবন ভুলই করে যাবেন। চোখ রাঙিয়েছেন আর ধরা পড়ে গেলেই ভুল।’’ ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর চাকরি যাওয়া নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন মমতা। তৃণমূলনেত্রী বলেছেন, ‘‘এখন ছেলেমেয়েদের পড়াবে কে? বিজেপি না আরএসএস?’’ তা নিয়ে দিলীপের জবাব, ‘‘প্রয়োজন পড়লে বিজেপি নেতারা স্কুলে গিয়ে পড়াবেন, তা হলে আর যাই হোক তৃণমূলের মতো এ রকম চোর নেতা আর তৈরি হবে না।’’

Advertisement

এ নিয়ে রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘দিলীপ ঘোষের মুখের ভাষা প্রমাণ করে তাঁর সভ্যতা এবং কৃষ্টি। ভোটে মানুষ সেটা বুঝিয়েও দেবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement