(বাঁ দিকে) দেব। হিরণ (ডান দিকে) । —নিজস্ব চিত্র।
রামনবমীতে পুজো নিয়েও তৃণমূল প্রার্থী দেবকে (দীপক অধিকারী) একহাত নিলেন ঘাটালে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, রাজনীতির জন্য ধর্মকে ব্যবহার করছে তৃণমূল। এ জন্য হিন্দু হিসাবে তিনি লজ্জিত। তবে হিরণকে রামনবমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে দেবের দাবি, বিজেপি প্রার্থী যদি ইফতার পার্টিতে যেতে পারেন, তিনিও রামনবমী পালন করতে পারেন এবং সেটা নিষ্ঠার সঙ্গেই করেছেন।
বুধবার রামনবমীর দিন ঘাটালে দু’টি পৃথক জায়গায় রামের পুজো দেন তৃণমূলের দেব এবং বিজেপি প্রার্থী হিরণ। দু’জনের গলাতেই শোনা যায়, ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি। পুজো দিয়ে এলাকায় জনসংযোগ সারেন দেব। অন্য দিকে, বাইক র্যালিতে অংশ নেন হিরণ। ঘাটালের কুশপাতা এলাকায় পুজো দিয়ে দেব বলেন, ‘‘আজ কাউকে কটাক্ষ করতেই চাই না। আজ হিরণকেও শুভেচ্ছা জানালাম। পবিত্র দিনে কাউকে ছোট করে দিনটাই নষ্ট করতে চাই না। ওর দল শান্তিতে থাকুক, আমার দলও শান্তিতে থাকুক। সবাই ভাল থাকুন।’’ যদিও হিরণের আক্রমণের রাস্তা ছাড়েননি। তাঁর খোঁচা, ‘‘যিনি আপনাদের বলেছেন যে, তিনি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেন না, তাঁর দলের নেত্রী ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে টিকে আছেন বাংলায়। এঁরা আসলে কোনও ধর্মের নন। রাজনীতির জন্য ধর্মকে বেছে নেন। আমি লজ্জিত হিন্দু হিসাবে। আমি রাজনীতির জন্য ধর্মকে ব্যবহার করব না।’’
ঘাটাল কলেজ মোড়ে পুজো দিয়ে হিরণ আরও বলেন, ‘‘আজ ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় পূজিত হচ্ছেন রাম। কিন্তু, তৃণমূলের কোন ধর্ম নেই। আমার কাছে আগে ধর্ম, পরে রাজনীতি।’’ ইফতার পার্টিতে তৃণমূল নেতাদের জিন্স পরে যাওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেছেন অভিনেতা-রাজনীতিক হিরণ। অন্য দিকে, দেব বলেন, ‘‘ও যদি ইফতার পার্টিতে যেতে পারে, আমিও রামনবমীতে আসতে পারি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাম কারও একার নয়। রামভক্তেরা সব দলেই কোথাও না কোথাও আছেন। কোনও দল যদি বলে তারাই শুধু রামভক্ত, তা হলে বোকামি হবে।’’ পাশাপাশি, ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি নিয়ে দেবের মন্তব্য, ‘‘ঠাকুর তো কারও একার হতে পারে না। ছোটবেলায় আমার বাবা-মা যা শিখিয়েছেন, বড় হয়ে যা বুঝতে পেরেছি, তা হল ধর্ম মানেই শান্তির বার্তা দেওয়া। ধর্ম কারও একার হতে পারে না। এক জন জনপ্রতিনিধির কাজ সবাইকে আগলে রাখা।’’