ডেরেক ও’ব্রায়েন। —ফাইল চিত্র।
এ বারের লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির দ্বিগুণ আসন জিতবে বলে দাবি করল তৃণমূল। সন্দেশখালি-কাণ্ডের পরে তৃণমূলের এই দাবি তাৎপর্যপূর্ণ। আজ দলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে আমরা অন্তত বিজেপির থেকে দ্বিগুণ আসন পাব। বিজেপির গত বারের জেতা আসনের নেতারা জানেন না, এ বার ভোটে টিকিট জুটবে কি না। প্রথম দফাতেই ২৯ জনের নাম ঘোষণা করে এক জনকে ফিরিয়ে নিতে হয়েছে। বাংলার বিজেপি নেতারা শুধু দিল্লি যাতায়াত করছেন।”
সন্দেশখালিতে মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরে এখন যা পরিস্থিতি, তাতে বসিরহাটে লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল গত বারের তুলনায় বড় ব্যবধানে জিতবে বলেই দাবি ডেরেকের। তাঁর কথায়, “সন্দেশখালির ঘটনা ছিল মূলত জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত। সেটি নিয়ে বিজেপি নারী নির্যাতনের ভাষ্য তৈরি করেছে। তা করেই ভুল করেছে। মানুষের মনে প্রশ্ন উঠছে, কারা নারীদের হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলছেন।”
ডেরেকের মতে, “বিজেপির এই তৈরি করা ভাষ্যে আসলে লাভই হয়েছে তৃণমূলের। কারণ মহিলা কুস্তিগিরদের প্রতি শাসক দলের অন্যায়, হাথরস বা লখিমপুর খেরির মতো কাণ্ডে নারীদের নির্যাতনে মুখ বুজে থেকেছে মোদী-শাহের দল। নির্যাতকদের প্রশ্রয় দিয়েছে দলের স্বার্থে। অন্য দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতির সবচেয়ে বড় শক্তি বাংলার নারী সমাজ।” তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, সম্প্রতি বাংলা সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বেছে বেছে প্রাক্তন ও বর্তমান নারী সাংসদের (কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অপরূপা পোদ্দার, মহুয়া মৈত্র) কেন্দ্রে গিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন। বিজেপির হিন্দিভাষী নেতারা যে বাংলার মনস্তত্ত্ব বোঝেন না, সেটাকেও আসন্ন ভোট প্রচারে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। বহিরাগতদের ভোটে দাঁড় করানো নিয়ে ডেরেকের যুক্তি, অতীতেও বাইরে থেকে আসা প্রার্থীরা ভাল ফল করেছেন, এমন তথ্য রয়েছে। বিশেষ করে বহরমপুরে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রার্থী ইউসুফ পাঠান দীর্ঘদিন কেককেআরে খেলার সুবাদে বাংলার সঙ্গে সংযুক্ত বলেই দাবি ডেরেকের।