Nandigram

তৃণমূল পার্টি অফিসে তালা লাগিয়ে দিয়েছিল বিজেপি, ভাঙলেন দেবাংশু! শুভেন্দুর নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে হুঁশিয়ারিও

রবিবার নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের বিরুলিয়ায় দলবল নিয়ে গিয়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় দখলের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। পার্টি অফিসের সামনে বিজেপির দলীয় পতাকাও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

নন্দীগ্রাম শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৪ ২০:২২
Share:

বিজেপির পতাকা খুলছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। —নিজস্ব চিত্র

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে তৃণমূলের পার্টি অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল বিজেপি! পরে দলবল নিয়ে নিজেই সেই তালা ভাঙলেন তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশ ভট্টাচার্য। পার্টি অফিসে বিজেপির লাগানো পদ্ম-পতাকাও ছিঁড়ে ফেললেন তিনি। শাসকদলের প্রার্থীর দাবি, যাঁরা প্রকাশ্যে পার্টি অফিস দখলের চেষ্টা করছেন, তাঁদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। নইলে আন্দোলন হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেবাংশু।

Advertisement

অভিযোগ দায়েরের কপি।

রবিবার নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের বিরুলিয়ায় দলবল নিয়ে গিয়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় দখলের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। পার্টি অফিসের সামনে বিজেপির দলীয় পতাকাও ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। বিজেপি বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেদিনীপুরকে ‘গদ্দারের মাটি’ বলেছেন। তার প্রতিবাদে তৃণমূলের পার্টি অফিসে তালা ঝোলানো হয়েছে। মমতার কুশপুতুলও পোড়ানো হয়। এই ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই বিকেলে নন্দীগ্রামে যান দেবাংশু। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ওই পার্টি অফিসে গিয়ে তালা ভাঙেন তিনি। দেবাংশু বলেন, ‘‘যারা প্রকাশ্যে পার্টি অফিসের দখল নিতে চেষ্টা করেছে, তাদের গ্রেফতারের জন্য ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হল। যদি এই অভিযুক্তেরা অবিলম্বে গ্রেফতার না হয়, তা হলে আমরা গোটা তমলুক লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলন করব।’’

কমিশনকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। বলেন, ‘‘বিজেপির যে সমস্ত নেতা-কর্মীরা এই কাজ করেছেন, তাদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা নিন। না হলে তৃণমূল আন্দোলন করে নিজেদের দাবি আদায় করে নেবে।’’ তৃণমূল সূত্রে খবর, বিরুলিয়া থেকে বেরিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন দেবাংশু।

Advertisement

পাল্টা বিজেপির প্রলয় পাল বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে তৃণমূলের সংগঠন করার লোক নেই। তাই কলকাতা থেকে দেবাংশুকে ধরে এনে তালা খুলতে হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরকে মুখ্যমন্ত্রী বরাবর গদ্দারের জেলা বলেন। তারই প্রতিবাদে আমাদের ওই কর্মসূচি ছিল।’’ পুলিশে অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রলয়ের সাফ জবাব, ‘‘আমাকে পুলিশ গ্রেফতার করে দেখাক। আমি এলাকায় আছি। প্রতিদিন মিটিং মিছিল করছি। ওরা সারা বছর আমাদের বিরুদ্ধে কেস দিতেই থাকে। তাই পুলিশের মামলাকে আমি ভয় পাই না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement