ডায়মন্ড হারবারের সিপিএম প্রার্থী প্রতীক -উর রহমানের সমর্থনে রোড - শো 'য় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় প্রমুখ। —নিজস্ব চিত্র।
বামফ্রন্টের সঙ্গে সমঝোতা না হওয়ার জন্য ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) চেয়ারম্যান তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুকে দায়ী করেছিলেন। এ বার ভাঙড়ে গিয়ে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের পাল্টা দাবি করলেন, সমঝোতা হয়নি আইএসএফ-এর জন্যই। এর জন্য বিমানকে দায়ী করা ঠিক নয়, ফের বলেছেন সৃজনও।
সেলিম মঙ্গলবার যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের সমর্থনে প্রচারে ভাঙড়ে গিয়েছিলেন। সেখানেই তিনি বলেছেন, “জোটের পক্ষে আমরা বার বার তাঁর (নওসাদ) সঙ্গে কথা বলেছি। প্রথমে কংগ্রেস এবং আইএসএফ জোটে থাকতে চাইছিল না। আমরা কথা বলে বুঝিয়ে রাজি করাই। তার পরেও আইএসএফ রাজি হয়নি। কেন উনি রাজি হননি, তা পরিষ্কার নয়।” তিনি এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এক সঙ্গে সমর্থনে রাজি থাকা সত্ত্বেও নওসাদ যে ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়াতে চাননি, এ দিন ফের সেই প্রসঙ্গও তুলেছেন সেলিম। প্রসঙ্গত, এর আগে সৃজনকেও ভাঙড়ে গিয়ে শুনতে হয়েছিল, সমঝোতা না হওয়ার জন্য বিমানই দায়ী। সৃজন এ দিন সেই সূত্রেই বলেছেন, “আগেও বলেছি, জোট না হওয়ার জন্য বিমানবাবুকে দায়ী করা ঠিক নয়। জোট করার জন্য সেলিমদা’রা অনেক চেষ্টা করেছিলেন।”
যদিও সেলিমের এই দাবি প্রসঙ্গে নওসাদের পাল্টা প্রতিক্রিয়া, “সেলিম সাহেব অসত্য বলছেন।” কেন সমঝোতা হয়নি, সে প্রসঙ্গে আইএসএফ বিধায়কের দাবি, “কংগ্রেস অচ্ছুত মনে করেছিল। আমরা বলেছিলাম, মুর্শিদাবাদ ও মালদহে একটা করে আসন দেওয়া হোক। ওরা রাজি হয়নি। আমরা সাতটা চাইলেও ওরা পাঁচটার বেশি দিতে চায়নি।” এমন ‘দ্বন্দ্বের’ আবহেও সেলিম অবশ্য জানিয়েছেন, সিপিএমের পাশাপাশি, আইএসএফ কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হলে তাঁরা চুপ থাকবেন না।
সেলিম এ দিন ডায়মন্ড হারবারের দলের প্রার্থী প্রতীক-উর রহমানের সমর্থনেও বজবজের ক্যালসিয়াম মোড় থেকে ফলতা হয়ে আমতলা পর্যন্ত রোড-শো করেছেন। ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায়, ডিওয়াইএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিমগ্নরাজ ভট্টাচার্যেরাও। প্রতীক-উরের বক্তব্য, “দম বন্ধ করা পরিবেশ থেকে এখানকার মানুষকে মুক্তি দেওয়াটাই আমাদের লক্ষ্য।” তৃণমূল অবশ্য অভিযোগে আমল দেয়নি।