—প্রতীকী চিত্র।
পুরভোটে তাহেরপুরে সাফল্য এসেছিল যে পথে। লোকসভা ভোটে সেই নিবিড় জনসংযোগের পথেই এবার তাহেরপুর ও সংলগ্ন এলাকায় হাঁটতে চলেছে সিপিএম। তাহেরপুর শহর এবং আশপাশের এলাকায় সেই ‘ফর্মুলাতেই’ এগোচ্ছে তারা।
জেলায় ঘাসফুল শিবিরের দাপটের মধ্যেই পুরভোটে তাহেরপুরের পুরবোর্ড দখল করে নিঃসন্দেহে চমক দিয়েছিল সিপিএম। এবারের লোকসভা ভোট তাদের কাছে যখন হারানো জমি পুনরুদ্ধারের লড়াই সেখানে তাহেরপুরের চেনা ছকেই পা ফেলতে চাইছে তারা। সিপিএমের তাহেরপুর এরিয়া কমিটির মধ্যে তাহেরপুর শহর ছাড়াও রয়েছে বীরনগর। রয়েছে বাদকুল্লা ১ ও ২, বারাসাত এবং খিসমা গ্রাম পঞ্চায়েত। তাহেরপুরে যেভাবে মাটি আঁকড়ে রেখে লড়াইয়ে ফল এসেছিল। সেই পথেই লোকসভা ভোটে নিবিড় জনসংযোগের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে তারা। ছোট ছোট এলাকা ভাগ করে সেখানে দলের একেক জন পার্টি কর্মীর উপর নির্দিষ্টভাবে কয়েকটি পরিবারের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের কাজ হবে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলি সঙ্গে সংযোগ এবং সমন্বয় রেখে চলা। তাঁদের চাওয়া-পাওয়া, অভাব-অভিযোগের খতিয়ান বুঝে নিয়ে প্রচারে ঝাঁপানোর পরিকল্পনা সিপিএমের।
দলীয় নেতৃত্বের মতে, বিভিন্ন পরিবারের সঙ্গে এক একজন পার্টি কর্মীর মাধ্যমে সংযোগ রক্ষার মধ্যে দিয়ে একেবারে নিচুতলায় জনসংযোগের কাজ হবে। পাশাপাশি তাঁদের তরফে তৈরি করা হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার লিফলেট। তাতে একদিকে যেমন প্রার্থী পরিচিতি থাকছে। আবার ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়েও নিজেদের বার্তা সেখানে দিচ্ছেন সিপিএম নেতৃত্ব। ইলেক্টোরাল বন্ডে অর্থ প্রদান এবং পাশাপাশি বিভিন্ন ওষুধের মূল্য বৃদ্ধির মতো বিষয় কীভাবে এর সঙ্গে যুক্ত, তা তুলে ধরে লিফলেটে প্রচার করছে তারা। প্রার্থী পরিচিতির লিফলেটের মাধ্যমে দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হবে ভোটারদের। এই সমস্ত লিফলেট বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবেন সিপিএম কর্মীরা। তাহেরপুরের পুরবোর্ড দখল সিপিএমকে সংগঠনে বাড়তি অক্সিজেন দিয়েছিল নিঃসন্দেহে। এবার নিবিড় জনসংযোগের পথে হেঁটে তাহেরপুর ও সংলগ্ন এলাকায় ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজছে তারা।
সিপিএমের তাহেরপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুপ্রতীপ রায় বলেন, "নিবিড় জনসংযোগের কাজ সর্বত্রই চলছে। বিশেষত ইলেক্টোরাল বন্ডের মতো বিষয়কে সামনে রাখা হচ্ছে। মানুষের কাছে আরও বেশি করে এই সব বিষয় তুলে ধরছি আমরা।"