ব্যাট হাতে ‘খেলে দিলেন’ মহম্মদ সেলিম। — নিজস্ব চিত্র।
সকালে ‘ভুয়ো’ এজেন্টকে ‘কট বিহাইন্ড’ করেছিলেন। সপাটে ‘মাঠে’র বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বেশ কয়েক জন ‘দুষ্কৃতী’কেও। তার কয়েক ঘণ্টা পরে, সূর্য মাথার উপর উঠলে ব্যাট হাতে নেমে পড়লেন দুর্গ আগলাতে। তিনি মুর্শিদাবাদের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। খেললেন চালিয়ে। জানিয়ে দিলেন, ‘‘তৃণমূলের খেলা শেষ!’’ পাল্টা তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া, ‘‘একটু বেশিই খেলে ফেললেন সেলিম সাহেব!’’
অপরিচিত ময়দানে রক্ষণাত্মক খেলার বদলে আক্রমণাত্মক মেজাজেই দেখা গেল ব্যাটার সেলিমকে। ভোটের দিন তিনি যেন বেশ ফুরফুরে মেজাজে। শুধু নিজেই খেললেন না, প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূলের খেলা যে ইতিমধ্যে শেষ, এমন জোরালো দাবিও করলেন বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী। পাল্টা, সেলিমের বিরুদ্ধে ‘গুন্ডামি’ করার অভিযোগ তৃণমূলের।
তৃতীয় দফার ভোটে মুর্শিদাবাদ আসনে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সেলিম। সকাল থেকে একাধিক জায়গায় ভোট প্রভাবিত করার অভিযোগ আসছিল তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। খবর পেতেই প্রায় সব জায়গাতেই ছুটে গিয়েছেন বাম প্রার্থী। ভোটকেন্দ্রের আশপাশ থেকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে ভুয়ো এজেন্ট পাকড়াও করেছেন ‘সক্রিয়’ সেলিম। বেলা গড়িয়ে দুপুর হতেই খোশমেজাজে ক্রিকেট খেলতে নেমে পড়েন তিনি। ডোমকলে তিনি ক্রিকেট খেললেন দলীয় সমর্থকদের সঙ্গে। ব্যাট হাতে খোশমেজাজেই চালিয়ে খেলতে দেখা গেল সেলিমকে।
ক্রিকেট প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা বলেন, ‘‘তৃণমূল আর মাঠে নেই। মানুষের রায়ে গণতান্ত্রিক ভাবে ওরা বাতিল হবে, এটা বুঝে গিয়েছে। ওদের ভোট কারচুপির খেলা শেষ। তাই আমরাই একটু খেলছি।’’ তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান অবশ্য সেলিমের হুঁশিয়ারি শুনে মুচকি হেসে ফেলেন। তার পর হাসি সামলে শুধু বলেন, ‘‘সেলিম সাহেব একটু বেশিই খেলে ফেললেন। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় গুন্ডাগিরির কোনও জায়গা নেই।’’