মুর্শিদাবাদে চলছে ঘুগনি রান্না। — নিজস্ব চিত্র।
ভোট দিলেই মিলছে প্যাকেট ভর্তি মুড়ি আর গরম গরম ধোঁয়া ওঠা ঘুগনি। এমনই অভিযোগ ঘিরে মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ চলাকালীন উত্তেজনা ছড়াল মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর লোকসভার অন্তর্গত মহিষাইল ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পারুলিয়া গ্রামে।
অভিযোগ, পারুলিয়া গ্রামের ১৭ নম্বর নতুন পারুলিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০৬ নম্বর বুথ থেকে ভোট দিয়ে বার হলেই বিজেপির ক্যাম্প অফিস থেকে ভোটারদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে প্যাকেট ভর্তি মুড়ি এবং ঘুগনি। তৃণমূলের অভিযোগ, ভোটাররা ‘নির্দিষ্ট’ প্রতীকে ভোট দিলেই বিজেপির ক্যাম্প অফিস থেকে হাতে হাতে মুড়ি, ঘুগনি পৌঁছে যাচ্ছে। তা নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন ভোটাররা। এই ঘটনা নজরে আসার পর বিজেপির বিরুদ্ধে ঘুগনি, মুড়ি দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূলের মহিষাইল ২ অঞ্চল সভাপতি নবিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘ভোটদান কেন্দ্র থেকে কিছু দূরে বিজেপির একটি ক্যাম্প অফিস করা হয়েছে। সেখান থেকেই ভোটারদের মুড়ি, ঘুগনি দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বিজেপি মুড়ি, ঘুগনি খাইয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে।’’
যদিও তৃণমূলের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, ক্যাম্প অফিস থেকে কেবলমাত্র বিজেপি কর্মীদেরই মুড়ি, ঘুগনি দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সাধারণ ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য মুড়ি, ঘুগনি দেওয়া হচ্ছে না।
অন্য দিকে, খড়গ্রাম বিধানসভার ইন্দ্রাণী গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭৭ এবং ৭৮ আসলপুর বুথে ভোট দিলেই ভোটারদের দেওয়া হচ্ছে চা-বিস্কুট, মুড়ি, ঘুগনি। দুপুরে ভোট দিতে আসা ভোটারদের জন্য থাকছে ডিম-ভাত। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে খাওয়ার ব্যবস্থা। এ প্রসঙ্গে খড়গ্রামের তৃণমূল বিধায়ক আশিস মার্জিত বলেন, “কংগ্রেস পালে হাওয়া পাচ্ছে না। বিভিন্ন বুথে কংগ্রেসের এজেন্ট থাকছে না। কর্মীদের ঘুগনি খাওয়ানোর জন্য রান্না করেছিল। কিন্তু কর্মীরা আসেননি। সেটাই ভোটারদের মধ্যে বিলি করে দিচ্ছে। এই পরিকল্পনা হাস্যকর।”
রঘুনাথগঞ্জের গিরিয়া-সেকেন্দ্রা অঞ্চলের দু’টি বুথে বিজেপি এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছন বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ। তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপির এজেন্টদের কাছ থেকে তৃণমূলের গুন্ডারা প্রয়োজনীয় নথি কেড়ে নিয়েছে। পরে তিনি এক এজেন্টকে বুথে বসাতে সক্ষম হন।