—প্রতীকী চিত্র।
শিল্প এবং কর্মসংস্থানের প্রশ্নে রাজনৈতিক দুই প্রতিপক্ষ— বিজেপি এবং তৃণমূলকে বিঁধে প্রচার শুরু করলেন বালুরঘাট লোকসভা আসনের আরএসপি প্রার্থী জয়দেব সিদ্ধান্ত।বৃহস্পতিবার কুশমণ্ডির বাসিন্দা জয়দেবের নাম ঘোষণা করেছে দল। শুক্রবার সকাল থেকেই কুশমণ্ডি থেকে জয়দেব ভোট-প্রচারে নেমেছেন। শিল্প ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির নিরিখে ‘পিছিয়ে পড়া’ দক্ষিণ দিনাজপুরের সমস্যাকে প্রচারে গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেন তিনি। এ দিন জয়দেব অভিযোগ করেন, ‘‘এত দিন তৃণমূল-বিজেপি জেলায় কলকারখানা তৈরি ও বেকারদের কর্মসংস্থান করতে পারেনি।’’ মানুষ তাঁকে ভোটে আর্শীবাদ করলে ‘মাস্টার প্ল্যান’ করে উন্নয়নে ঝাঁপাবেন বলে বার্তা দেন তিনি। তৃণমূল এবং বিজেপি অবশ্য দীর্ঘ বাম আমলের ব্যর্থতাকে তুলে ধরে পাল্টা প্রচারে নেমেছে।
একদা ‘বাম-দুর্গ’ বলে পরিচিত বালুরঘাট আসনে প্রতি লোকসভা ভোটেই বামেদের ভোট কমছে বলে খবর। তবে বামেদের অস্তিত্ব রয়েছে কুশমণ্ডি, বালুরঘাট, হিলি, গঙ্গারামপুর ও তপনে। গত লোকসভায় গেরুয়া শিবিরে বামেদের অধিকাংশ ভোট চলে যায় বলে খবর। ফলে, বালুরঘাট আসনে ভোট কমে বামেদের ঝুলিতে মাত্র ছয় শতাংশ ভোট পড়ে।
আরএসপির জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘আমাদের ভোট এ বার কোথাও যাবে না। আমরা সেই ভোট ধরে রাখার চেষ্টা করব।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেছেন, ‘‘এক দিকে বিজেপি। অন্য দিকে বাকি সবাই। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে সুকান্ত মজুমদার যা উন্নয়ন করেছেন, সে নিরিখে বাম ভোটারেরাও বিজেপিকেই ভোট দেবেন বলে স্বরূপ দাবি করেন। তৃণমূল জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, ‘‘এ জেলায় বাম এক সময় গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু এখন তা নেই।’’ বিজেপির উত্থানের পেছনে বামেদের ভূমিকা রয়েছে বলে সুভাষ দাবি করে জানান, বিজেপিতে ভোট গেলেও তৃণমূলের ক্ষতি হবে না।