পাঁশকুড়ার পশ্চিম নেকড়ায় সিপিএমের ফাঁকা দেওয়াল। নিজস্ব চিত্র।
গত বছর লোকসভায় পাশ হয় মহিলা সংরক্ষণ বিল। এই বিল নিয়ে প্রথম আন্দোলন শুরু করেছিলেন পাঁশকুড়ার টানা সাত বারের সিপিআই সাংসদ প্রয়াত গীতা মুখোপাধ্যায়। পাঁশকুড়াকে এক সময় সিপিআইয়ের গড় বলা হত। তাদের মজবুত সংগঠনকে সম্মান করে কোনও দিন এখানে জোট সঙ্গীর বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি তৎকালীন শাসক দল সিপিএমও। অথচ, একদা সেই বাম গড়ে এ বার নির্বাচনে এখনও প্রার্থীই ঘোষণা হয়নি। হতাশ বাম কর্মী সমর্থকেরা।
১৯৭৭ সালে এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসে বামফ্রন্ট। ওই বছর পাঁশকুড়া পশ্চিম বিধানসভায় সিপিআইয়ের প্রার্থী ছিলেন ওমর আলি। প্রতিপক্ষ সিপিএম প্রার্থীকে সাড়ে ৩০০ ভোটে হারিয়ে দেন সিপিআইয়ের ওমর আলি। ১৯৮০ সালে সিপিআই বামফ্রন্টের অন্তর্ভূক্ত হয়। তার পর থেকে দীর্ঘ বাম জামানায় পাঁশকুড়া কেন্দ্রে সিপিএম কোনও দিন সিপিআইয়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি।
কিন্তু একদা গড়ে এখনও একটিও দেওয়াল লিখন শুরু হয়নি বামেদের। শুধুমাত্র নিজদের আয়ত্ত্বে থাকা দেওয়ালে সাদা চুনের প্রলেপ দিয়ে রেখেছেন বাম কর্মীরা। কিন্তু কেন এখনও ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা হল না বামেদের? রাজ্যে এই মুহূর্তে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেস এবং আইএসএফের জোট রয়েছে। সূত্রের খবর, কোন দল থেকে ঘাটালে প্রার্থী দেওয়া হবে, তা এখনও ঠিক করতে পারেননি জোট নেতৃত্ব। ফলে হতাশ নিচু তলার বাম কর্মীরা। সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন, "এখন বাম সংগঠনের অবস্থা আগের মতো নেই। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি, এ বার ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রটি সিপিএমকে ছেড়ে দেওয়ার। আর কাঁথিতে সিপিএমের বদলে সিপিআই থেকে প্রার্থী দেওয়ার জন্য। বিষয়টি নিয়ে জোটে আলোচনা হচ্ছে। আশা করছি দু'এক দিনের মধ্যেই ঘাটাল কেন্দ্রের প্রার্থী আমরা ঘোষণা করতে পারব।"