(বাঁ দিক থেকে) কবীরশঙ্কর শঙ্কর বসু এবং অপরূপা পোদ্দার। — ফাইল চিত্র।
দল টিকিট না দেওয়ায় তাঁর অভিমানের কথা জানিয়েছিলেন শুক্রবার। শনিবারই শ্রীরামপুরের পদ্ম-প্রার্থী দাবি করলেন, বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন আরামবাগের বিদায়ী সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। তা হলে কি টিকিট না পেয়ে পদ্মপথে অপরূপা? কবীরশঙ্করের দাবিকে উড়িয়ে পাল্টা অপরূপার চ্যালেঞ্জ, “দম থাকলে কোন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি তাঁর নাম জানান!”
ভোট যত এগিয়ে আসছে রাজনীতির পারদ ততই চড়ছে। আরামবাগের বিদায়ী সাংসদ অপরূপা। দু’বার আরামবাগ থেকে জয়ী অপরূপাকে এ বার প্রার্থী করেনি তৃণমূল। তা নিয়ে অসন্তোষ ছিল তাঁর। সভার পরেই নিজের ফেসবুকে অপরূপা আরামবাগবাসীর জন্য খোলা চিঠি লিখেছিলেন। তৃণমূলের এক জন সাধারণ সৈনিক হিসাবে কাজ করবেন বলেও জানিয়েছিলেন। শনিবার প্রচারে বেরিয়ে শ্রীরামপুরের বিজেপি প্রার্থী কবীরশঙ্কর বলেন, ‘‘অপরূপা পোদ্দার বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও যোগাযোগ আছে।’’
সেই প্রসঙ্গে শনিবার অপরূপা বলেন, ‘‘কবীরশঙ্করের যদি দম থাকে তা হলে বলুন, আমি কোন বিজেপি নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কেন মিথ্যা অভিযোগ করছেন? আসলে কবীরবাবু বিধানসভা নির্বাচনে হেরো প্রার্থী হিসেবে শ্রীরামপুর থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। আমি মমতাদি’র ছোট বোন হিসেবে দলে এসেছিলাম এবং সেই দলেই চিরকাল থাকব।’’
প্রসঙ্গত, শুক্রবার অপরূপা জানিয়েছিলেন, তাঁর হাতে টাকা নেই। সেই কারণেই তাঁকে দল এ বার টিকিট দেয়নি। দাবি করেছিলেন, নিজের আর্থিক দুরাবস্থার কথা তিনি দুই মন্ত্রী এবং এক প্রবীণ সাংসদকে জানিয়েছিলেন। অপরূপা সে দিন সন্দেহ প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন যে, ওই তিন নেতার থেকেই সম্ভবত দলনেত্রীর কানে কথাটি গিয়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে তিনি এ বার আরামবাগ থেকে লড়ার টিকিট পেলেন না। শনিবার ঘুরিয়ে সেই কথাতেই ফিরে আসেন অপরূপা। যদিও এ দিনও তিনি তিন নেতার নাম নেননি, উল্টে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এ বারও বিপুল ব্যবধানে জিতবেন বলেই আশাবাদী অপরূপা। তিনি বলেন, ‘‘আমার বাবা ক্যানসারের রোগী। তাঁর একটা কিডনি বাদ গিয়েছে। মা দু’বছর ধরে কোমায়। সত্যিই আমার আর্থিক অবস্থা ঠিক নেই। মা, বাবাকে নিয়ে আমি খুবই চিন্তায় আছি। আমার আর্থিক অবস্থা ঠিক নেই। তাই আমি ভোটে দাঁড়াইনি।’’