মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
ধীরে ধীরে গতি পাচ্ছে রাজ্যে কংগ্রেস ও বামেদের আসন সমঝোতার প্রক্রিয়া। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে বার্তা দিয়েছে এআইসিসি-র জোট সংক্রান্ত সর্বভারতীয় কমিটি। কংগ্রেস বামেদেরই হাত ধরতে চলেছে বুঝে দু’দলকে আক্রমণ করছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
পুরুলিয়ার সভা থেকে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেছেন, ‘‘বিজেপির সঙ্গে ওর বন্ধু সিপিএম আছে। বাংলায় কংগ্রেসও রয়েছে। বড় বড় কথা বলে সব! কাজ করে না। আমরা কোনও প্রতিশ্রুতি দিলে তা পালন করি। ওরা করে না।’’ প্রত্যাশিত ভাবে, বিজেপিকেও তোপ দেগেছেন মমতা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আগের বারও এখান থেকে (পুরুলিয়া) বিজেপি জিতে গিয়েছিল। জেতার পরে কিছু করেছিল? ভোটের আগে এসে ভয় দেখাবে। কিছু টাকা পয়সা দেবে। আর কিছু মিথ্যা, ভুলভাল কথা বলবে! আপনারা শুনবেন না। ভোট হলে ওরা পালিয়ে যাবে। আমরা কিন্তু বাংলায় ৩৬৫ দিনই থাকব!’’
জয়রাম রমেশের মতো কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে বারবার মন্তব্য করে গেলেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানিয়েছিলেন, বাংলায় তাঁরা বামেদের সঙ্গে সমঝোতা করেই লোকসভা ভোটে লড়তে আগ্রহী। সূত্রের খবর, সেই প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এআইসিসি-র জোট সংক্রান্ত কমিটি সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। জোট এবং কংগ্রেসের রণকৌশল সংক্রান্ত আলোচনার জন্য মার্চের গোড়াতেই প্রদেশ নির্বাচন কমিটির বৈঠক ডাকা হচ্ছে। জোট সংক্রান্ত প্রশ্নে এ দিন বহরমপুরে প্রকাশ্যে অধীর অবশ্য বলেছেন, ‘‘নির্বাচন তো এখনও ঘোষণা হয়নি। ঘোষণা হলে যা করার, করা হবে।’’ তবে সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে ‘মিথ্যা মামলায় জোর করে আটকে রাখা’র অভিযোগে সরব হয়ে বামেদের পাশেই দাঁড়িয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গেই সন্দেশখালি ও অন্য প্রসঙ্গ ধরে মন্তব্য করেছেন, ‘‘এই স্বৈরাচারী (তৃণমূলের) সরকারের বিদায় না হলে বাংলার মানুষের মুক্তি নেই!’’
বাম সূত্রের খবর, আসন ভাগাভাগির বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা করতে শরিক দলগুলির সঙ্গে সিপিএমের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরু হচ্ছে কাল, বৃহস্পতিবার। কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতায় নীতিগত আপত্তি না থাকলেও নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃতি ধরে রাখতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় বাম শরিক দলগুলি।