—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
প্রচারের জন্য ন্যূনতম যে খরচ, তা-ও দিচ্ছে না দল। এই বলে শনিবার লোকসভা ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন পুরীর সুচরিতা মোহান্তি। ওই কেন্দ্রে নতুন প্রার্থী দিয়েছে কংগ্রেস। সেই সঙ্গে সুচরিতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা। ওড়িশা কংগ্রেস জানিয়েছে, প্রার্থী নিজে সরে যাননি, দল ওই কেন্দ্রে প্রার্থী বদলে দিয়েছে। পুরী থেকে কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে লড়বেন জয়নারায়ণ পট্টনায়েক।
ষষ্ঠ দফায় আগামী ২৫ মে পুরী লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৬ মে। পুরীর বিজেডি প্রার্থী অরূপ পট্টনায়ক এবং বিজেপির সম্বিত পাত্র ইতিমধ্যেই তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেস প্রার্থী সুচরিতার মনোনয়ন ঝুলে ছিল। শনিবার তিনি জানিয়ে দেন, তিনি ভোটে লড়বেন না। কারণ হিসাবে যা বলেছিলেন, তাতে অস্বস্তিতে পড়েছিল দল।
সুচরিতা বলেছিলেন, “আমি শুক্রবার রাতে দলকে একটি ইমেল পাঠিয়েছিলাম। দল থেকে কোনও তহবিল দিয়ে সাহায্য না করার কারণে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছি। আমি পার্টির টিকিট ফেরত দিয়েছি।” সম্প্রতি প্রচারের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে জনগণের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুচরিতা। সমাজমাধ্যমেও কিউআর কোড শেয়ার করে অর্থসাহায্য চেয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
সুচরিতার অভিযোগ মানতে নারাজ কংগ্রেস। দলের সিনিয়র নেতা তথা সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল জানান, দলের প্রয়োজনেই পুরী কেন্দ্রে অন্য প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। সুচরিতা সরে যাওয়ার কারণে নয়, দলই ওই কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী হিসাবে চাইছিল না। তাই প্রার্থী বদল করা হয়েছে। নতুন প্রার্থী হচ্ছেন জয়নারায়ণ। একে দলের ‘কূটনৈতিক কৌশলগত সিদ্ধান্ত’ বলে দাবি করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, সুচরিতা প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ ব্রজমোহন মোহান্তির কন্যা। ২০১৪ সালেও পুরী কেন্দ্র থেকে সুচরিতাকে প্রার্থী করেছিল কংগ্রেস। তবে তিনি হেরে যান। এ বার দলের টিকিট পাওয়ার পর প্রচার শুরু করে জানিয়েছিলেন, তাঁকে প্রচারের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা দেওয়া হচ্ছে না। দল থেকে নিজের টাকা দিয়ে তাঁকে প্রচার করতে বলা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। শনিবার জানান, তিনি নিজে প্রচারের টাকা জোগাড় করতে পারেননি। দলের কাছে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেখান থেকেও সাহায্য পাননি। তাই ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।