ওয়েনাড়ে প্রিয়ঙ্কা-রাহুলের ‘রোড শো’। ছবি: এক্স হ্যান্ডল থেকে নেওয়া।
মাস তিনেক আগে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার সূচনায় দাদা রাহুল গান্ধীর পাশে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে দেখা যায়নি। বুধবার কেরলের ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন জমা দিলেন রাহুল। তাঁর পাশে আগাগোড়া হাজির রইলেন প্রিয়ঙ্কা। রাহুলের পাশাপাশি, কেরলের তিরুঅন্তপুরমে আর এক ‘হেভিওয়েট’ কংগ্রেস প্রার্থী, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী তারুরও বুধবার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে হেলিকপ্টারে ওয়েনাড়ে পৌঁছন রাহুল। এর পর ‘রোড শো’ করে জেলাশাসকের দফতরে যান তিনি। প্রিয়ঙ্কা এবং এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপালের সঙ্গে গিয়ে মনোনয়ন পেশের পরে রাহুল বলেন, ‘‘সংসদের সদস্য হওয়া আমার কাছে গর্বের বিষয়। ওয়েনাড়ের মানুষ আমাকে সেই সুযোগ দিয়েছেন। শুধু প্রিয়ঙ্কা নয়, ওয়েনাড়ের প্রতিটি বাড়িতে আমার মা, ভাই, বোনেরা আছেন।’’
২০০৯ সালে আসন পুনর্বিন্যাসের ফলে তৈরি ওয়েনাড়ে গত তিনটি লোকসভা ভোটেই কংগ্রেস জিতেছে। কেরলের ওই কেন্দ্র থেকে ২০১৯ সালে কংগ্রেস প্রার্থী রাহুল জয়ী হয়েছিলেন চার লক্ষ ৩০ হাজার ভোটে। হারিয়েছিলেন সিপিআই প্রতিদ্বন্দ্বী পিপি সুনেরকে। রাহুলের ধাক্কায় কেরলের ২০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৯টিই জিতে নিয়েছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ। মাত্র একটিতে জিতেছিলেন সিপিএমের নেতৃত্বাধীন জোট এলডিএফের প্রার্থী।
এ বার ওয়েনাড়ে সুরেন্দ্রন ছাড়াও রাহুলের লড়াই বামজোটের সিপিআই প্রার্থী অ্যানি রাজার বিরুদ্ধে। তিনি সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার স্ত্রী। এ বার রাহুল অমেঠীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে রাহুল ওয়েনাড়ে জিতলেও উত্তরপ্রদেশের অমেঠী লোকসভায় বিজেপির স্মৃতি ইরানির কাছে ৫৫ হাজার ভোটে হেরে গিয়েছিলেন রাহুল। তার আগে ২০০৪ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত তিন বার লোকসভা ভোটে অমেঠী থেকে জয়ী হয়েছিলেন তিনি।
অন্য দিকে, রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রাক্তন আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল শশী ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত টানা তিনটি লোকসভা ভোটে তিরুঅনন্তপুরম থেকে জয়ী হয়েছেন। এ বার সেখানে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভার সদস্য, বিজেপির রাজীব চন্দ্রশেখর এবং সিপিএমের পন্নায়ন রবীন্দ্রন। আগামী ২৬ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফায় কেরলের ২০টি লোকসভা কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণ হবে।