বাঁ দিক থেকে, নীতীশ কুমার এবং রাহুল গান্ধী। — ফাইল চিত্র।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ‘ইন্ডিয়া’ ছেড়়ে এনডিএ-তে প্রত্যাবর্তনের নতুন ‘তত্ত্ব’ দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার বিহারে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় তাঁর দাবি, জাতগণনা সংক্রান্ত রিপোর্ট কার্যকর করা আটকানোর উদ্দেশ্যেই বিজেপি ভাঙিয়ে নিয়ে গিয়েছে নীতীশকে।
রাহুল বলেন, ‘‘আমরা নীতীশজিকে বলেছিলাম, আপনাকে জাতগণনা এবং এ সংক্রান্ত পদক্ষেপ করাতে হবে। এতে বিজেপি ভয় পেয়ে গেল। নীতীশকে চাপ দিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে তাঁকে এনডিএ-তে নিয়ে গেল।’’ বিহারবাসীর উদ্দেশে রাহুলের মন্তব্য, ‘‘আপনাদের সামাজিক ন্যায়বিচার দেওয়া আমাদের জোটের (‘ইন্ডিয়া’) দায়িত্ব এবং এর জন্য আমাদের নীতীশজির প্রয়োজন নেই।’’
সরকারি চাকরি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) সংরক্ষণ বৃদ্ধির প্রস্তাব সংক্রান্ত বিল গত নভেম্বরে পাশ হয়েছিল বিহার বিধানসভায়। কিন্তু তা এখনও কার্যকর হয়নি। জাতগণনার রিপোর্টকে ভিত্তিকে করে বানানো ওই বিলে জাতভিত্তিক সংরক্ষণ ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য ১০ শতাংশ পৃথক সংরক্ষণের কথাও বলা হয়েছে।
নীতীশ আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের সঙ্গে ‘মহাগঠবন্ধন’-এ থাকাকালীন বিহারে জাতগণনা হয়েছিল। সেই সমীক্ষার বিরোধিতায় মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রকাশিত হয়েছিল গণনার রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বিহারে ওবিসি জনগোষ্ঠী মোট ৬৩ শতাংশ। তার মধ্যে ৩৬ শতাংশ অতি অনগ্রসর (ইবিসি) এবং ২৭ শতাংশের সামান্য বেশি সাধারণ অনগ্রসর গোষ্ঠীর। এ ছাড়া বিহারে প্রায় সাড়ে ১৯ শতাংশ তফসিলি জাতি এবং ১.৬৮ শতাংশ তফসিলি জনজাতি গোষ্ঠীর মানুষ রয়েছেন বলে ওই রিপোর্ট জানাচ্ছে।