—প্রতীকী চিত্র।
আলিপুরদুয়ারের বাম প্রার্থী, আরএসপির মিলি ওরাওঁকে সমর্থন নিয়ে এখনও ‘দ্বিধায়’ কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব। তবে মিলিকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি। বাম প্রার্থীর সমর্থনে কী ভাবে প্রচার হবে তা ঠিক করতে রবিবার বৈঠকে বসতে চলেছেন আলিপুরদুয়ারের আইএনটিইউসি নেতারা। খুব শীঘ্রই মিলিকে নিয়ে বাম নেতারাও আইএনটিইউসি নেতৃত্বের কাছে যাবেন বলে ফ্রন্ট সূত্রে জানা গিয়েছে।
আইএনটিইউসি-র আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি বিবেক বসু শনিবার বলেন, “আমাদের লড়াই মূলত বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এবং ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেসের সঙ্গে বামফ্রন্টও রয়েছে। সে জন্যই এখনও পর্যন্ত আমাদের সিদ্ধান্ত, আলিপুরদুয়ার আসনে বাম প্রার্থী মিলি ওরাওঁকেই আমরা সমর্থন করব। বাম প্রার্থীর হয়ে কী ভাবে আমাদের প্রচার হবে, তা ঠিক করতে রবিবার জেলা আইএনটিইউসি-র কোর কমিটির বৈঠকও হবে।” আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন আরএসপি বিধায়ক তথা ইউটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি নির্মল দাস বলেন, “আইএনটিইউসি আমাদের প্রার্থীর প্রতি সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় আমরা খুবই খুশি। খুব শীঘ্রই আইএনটিইউসি নেতৃত্বের সঙ্গে আমরা বৈঠকে বসব।”
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুরু থেকেই আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে প্রার্থী দেওয়ার দাবি উঠেছিল কংগ্রেস শিবিরে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের প্রার্থী হিসাবে জেলা নেতৃত্ব তিনটি নাম প্রস্তাবের আকারে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেও পাঠান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উত্তরের এই কেন্দ্রে আর প্রার্থী দেননি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। উল্টে, বামেরা আরএসপির মিলিকে আলিপুরদুয়ারে প্রার্থী করে। সূত্রের খবর, তার পর থেকেই মিলির পক্ষে সমর্থন চেয়ে জেলার বাম নেতারা কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সূত্রের দাবি, আলিপুরদুয়ারের কংগ্রেস নেতৃত্ব এখনও তা নিয়ে ‘দ্বিধায়’।
কংগ্রেসের নতুন জেলা সভাপতি শান্তনু দেবনাথ বলেন, “আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ও বিজেপিকে হারানোই আমাদের মূল লক্ষ্য। কিন্তু আলিপুরদুয়ার আমাদের কেন্দ্রে প্রার্থী না-থাকায় তৃণমূল ও বিজেপিকে হারাতে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা কী ভূমিকা নেবেন, সে ব্যাপারের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশের অপেক্ষা এখনও আমরা করে চলছি।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক কিশোর দাস বলেন, “বামপ্রার্থীকে জয়ী করতে গোটা কংগ্রেস দলই এগিয়ে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।”