কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটি বৈঠক। ছবি পিটিআই।
পূর্ব ভারতের দুই রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে সোমবার রাতে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটি বৈঠকে বসল। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের পাশাপাশি প্রাক্তন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী, এআইসিসির সাধারম সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল-সহ কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির সদস্যেরা হাজির রয়েছেন ওই বৈঠকে।
মূলত পূর্ব ভারতের দুই রাজ্য বিহার এবং ওড়িশায় প্রার্থী নির্বাচনের জন্যই সোমবারের বৈঠক বলে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে। টানা এক সপ্তাহের টানাপড়েনের পরে অবশেষে শুক্রবার বিহারে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করেছে বিজেপি বিরোধী জোট ‘মহাগঠবন্ধন’। রফাসূত্র অনুযায়ী সে রাজ্যের ৪০টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে আরজেডি ২৬, কংগ্রেস ৯, সিপিআইএমএল (লিবারেশন) ৩, সিপিএম ১, সিপিআই ১ আসনে লড়বে।
ওড়িশায় এ বার লোকসভার ২১টি আসনের পাশাপাশি বিধানসভার ১৪৭টি আসনেও ভোটগ্রহণ হচ্ছে। ওই রাজ্যে দুই বাম দল, সিপিএম এবং সিপিআইয়ের সঙ্গে আসন সমঝোতা হতে পারে কংগ্রেসের। কংগ্রেসের তরফে বার বার দাবি জানানো হলেও, পূর্ণিয়া আসনটি ‘বাহুবলী’ প্রাক্তন সাংসদ পাপ্পু যাদবকে ছাড়েনি লালুপ্রসাদ, তেজস্বী যাদবের দল। এই পরিস্থিতিতে সনিয়া-খড়্গেরা ওই আসনে পাপ্পুকে ‘হাত’ প্রতীক দিয়ে আরজেডির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন কি না, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিহারে আরজেডির সঙ্গে সমঝোতা করে ন’টি লোকসভা আসনে লড়েছিল কংগ্রেস। জিতেছিল কিসানগঞ্জে। লালুপ্রসাদ-তেজস্বীর দল ১৯টিতে লড়ে একটিতেও জিততে পারেনি। অন্য তিনটি আঞ্চলিক দলকে আরজেডি ১১টি আসন ছাড়লে তাদের ঝুলিও ছিল শূন্য। অন্য দিকে, ২০১৯ সালে ওড়িশায় ২১টি লোকসভা আসনের মধ্যে বিজেডি ১২ এবং বিজেপি ৮টি আসনে জিতেছিল। কংগ্রেস জিতেছিল শুধু কোরাপুটে। সে রাজ্যের বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের দল ১১২, বিজেপি ২৩ এবং কংগ্রেস ৯টিতে জেতে।