কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। — ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ মন্তব্য নিয়ে এ বার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। সেই সঙ্গে রাহুলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার দাবিও জানিয়েছে তারা। পদ্মশিবিরের দাবি, এ হেন মন্তব্য শুধু ভোটের আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গ করে তা-ই নয়, তার প্রভাবও গুরুতর।
সোমবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। সেই দলে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংহ, বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ কুমার-সহ আরও কয়েক জন। কমিশন থেকে বেরিয়ে হরদীপ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, জনসভায় কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির মন্তব্যগুলি অত্যন্ত আপত্তিকর। এই সব মন্তব্য নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করছে। পাশাপাশি, সেগুলি সমাজে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে বলে দাবি করেছে বিজেপি।
কী বলেছিলেন কংগ্রেস নেতা? অরবিন্দ কেজরীওয়ালের গ্রেফতারি-সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে সভা করেছিল বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। ‘লোকতন্ত্র বাঁচাও’ সমাবেশের মঞ্চে ছিলেন একাধিক বিরোধী নেতানেত্রীরা। সেখান বক্তৃতা করতে গিয়ে রাহুল দাবি করেছিলেন, ‘‘ইভিএম ছাড়া, ম্যাচ ফিক্সিং ছাড়া, সমাজমাধ্যম ছাড়া এবং গণমাধ্যমের উপর চাপ সৃষ্টি ছাড়া বিজেপির পক্ষে ১৮০টির বেশি আসন জেতা অসম্ভব।’’
কী ভাবে ভোটে ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ হবে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে রাহুল বলেছিলেন, ‘‘এখন আইপিএল চলছে। যখন আম্পায়ারদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়, খেলোয়াড়দের কিনে নেওয়া হয় এবং অধিনায়ককে হুমকি দেওয়া হয় ম্যাচ জেতার জন্য, সেটা ক্রিকেটে ফিক্সিং। সামনেই আমাদের লোকসভা ভোট আছে। সেখানে আম্পায়ারদের নিজেই বেছেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আমাদের দুই খেলোয়াড়কে খেলার আগেই গ্রেফতার করে নেওয়া হয়েছে।’’
রাহুলের এই মন্তব্যকে ভাল ভাবে নেয়নি বিজেপি। সোমবার কমিশনের কাছে কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় তারা। হরদীপ বলেন, ‘‘রবিবার জনসভায় দেওয়ার সময় রাহুল গান্ধী বলেছিলেন যে এটি (লোকসভা নির্বাচন) একটি নির্দিষ্ট ম্যাচ। তিনি আরও বলেছিলেন কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচন কমিশনে তার নিজেদের লোকদের মোতায়েন করেছে। সেই সঙ্গে রাহুল ইভিএমের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।’’ এর পরই তিনি বলেন, ‘‘রাহুল, কংগ্রেসের অন্যান্য নেতা এবং বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা কমিশনের কাছে আবেদন করেছি।’’