বিনয় তামাং। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
মঙ্গলবার সকালেই দার্জিলিঙের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তাকে সমর্থন করেছিলেন পাহাড়ের নেতা বিনয় তামাং। কংগ্রেসে থেকে বিজেপি প্রার্থীকে সমর্থন করার পরেই বিনয়কে নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। বিকেলে সেই বিনয়কেই দল থেকে বহিষ্কার করল হাত শিবির। রাজ্য কংগ্রেস জানিয়ে দেয়, আগামী ছ’বছরের জন্য পাহাড়ের নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত বছর নভেম্বরে দিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন বিনয়। তাঁর যোগদান অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে পাহাড়ের প্রার্থী বাছাই নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে মতানৈক্য দেখা দেয় বিনয়ের। বিনয় কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর গুঞ্জন ছিল, তাঁকে পাহাড়ে প্রার্থী করতে পারেন রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গেরা। কিন্তু তা হয়নি।
হামরো পার্টির অজয় এডওয়ার্ডের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা পবন খেড়া, গুলাম আহমেদ মিররা। মুনীশ তামাং গোর্খা পরিসঙ্ঘের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। অজয় ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিক হন। সেই প্রেক্ষাপটে বিনয় শিবির কার্যত তখন থেকেই কংগ্রেস থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখেছিল। কংগ্রেস দার্জিলিঙে প্রার্থী হিসাবে মুনীশের নাম ঘোষণার পরই সেই দূরত্ব আরও বৃদ্ধি পায়।
মঙ্গলবার সকালে বিনয়ের একটি ভিডিয়ো বার্তা প্রকাশ্যে আসার পরেই দুই শিবিরের ফাটল আরও গভীর হয়। বিনয় যে আর কংগ্রেসের সঙ্গে থাকতে চাইছেন না, তা এক প্রকার স্পষ্ট হয়ে যায়। সেই ভিডিয়ো বার্তায় বিনয়কে বলতে শোনা যায়, ‘‘এখন দুর্নীতি আর স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করার সময়। সেই প্রেক্ষিতে আমি সমর্থন করছি বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তাকে। পাহাড়ের মানুষের কাছে বলব, আপনারাও তাঁকে সমর্থন করুন।’’
এখানেই থেমে থাকেননি বিনয়। তিনি আরও বলেন, ‘‘যা পরিস্থিতি, তাতে দিল্লিতে আবার নরেন্দ্র মোদীর সরকারে আসা নিশ্চিত। দু’বছর পর রাজ্যেও ক্ষমতায় আসতে পারে বিজেপি। তাই সব দিক বিবেচনা করেই রাজু বিস্তাকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরেই কংগ্রেস বিনয়কে দল থেকে বহিষ্কার করে।