‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় হাঁটছেন রাহুল গান্ধী। ছবি: পিটিআই।
লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় হেঁটেছিলেন রাহুল গান্ধী। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কখনও পায়ে হেঁটে, কখনও বাসে চেপে ঘুরেছিলেন। নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হওয়ার পর এ বার নতুন ‘যাত্রা’র কথা ঘোষণা করল কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশে ‘ধন্যবাদ যাত্রা’য় হাঁটবেন রাহুল-সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। উত্তরপ্রদেশে ভোটের ফলাফল দেখে সেই সিদ্ধান্তই আপাতত নেওয়া হয়েছে।
আগামী ১১ থেকে ১৫ জুন উত্তরপ্রদেশে ‘ধন্যবাদ যাত্রা’র আয়োজন করেছে কংগ্রেস। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের পাশাপাশি কর্মী এবং সমর্থকেরাও এই কর্মসূচিতে পা মেলাবেন। উত্তরপ্রদেশে মোট ৪০৩টি বিধানসভা আসন রয়েছে। প্রতিটি বিধানসভায় যাবে এই ‘যাত্রা’। মূলত, উত্তরপ্রদেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানাতেই এমন কর্মসূচি বলে জানিয়েছে কংগ্রেস।
কংগ্রেস জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১১ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ঘুরবেন তাদের নেতৃত্ব। বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে ভারতের সংবিধানের একটি করে প্রতিলিপি।
এ বারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ধাক্কা দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ। যেখানে ভোটের আগে ঘটা করে রামমন্দির উদ্বোধন করা হয়েছিল, যে রাজ্য বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হিসাবেই পরিচিত, সেখানে ৮০টির মধ্যে বিজেপি মাত্র ৩৩টি আসনে জয় পেয়েছে। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ পেয়েছে ৪৩টি আসন। তার মধ্যে কংগ্রেসের ছ’টি এবং তাদের জোট শরিক সমাজবাদী পার্টির ৩৭টি আসন রয়েছে।
উত্তরপ্রদেশে ২০১৯ সালের চেয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনের ফলাফলে আকাশপাতাল তফাত রয়েছে। গত বার ওই রাজ্যে ৬২টি আসন বিজেপি একাই জিতেছিল। সে বার সমাজবাদী পার্টি পেয়েছিল পাঁচটি এবং কংগ্রেস পেয়েছিল একটি আসন। এ বারের ফল কার্যত উল্টে গিয়েছে। এমনকি, বারাণসী থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জিতলেও তাঁর জয়ের ব্যবধান বেশ কম— মাত্র দেড় লাখ।
এ বারের ভোটে উত্তরপ্রদেশের অমেঠী কেন্দ্রের ফলাফলও বিশেষ চমক দিয়েছে। ওই কেন্দ্রে গত বার রাহুলকে হারিয়ে দিয়েছিলেন বিজেপির স্মৃতি ইরানি। তিনি মোদী মন্ত্রিসভার সদস্যও বটে। এ বার অমেঠী থেকে তিনি দেড় লক্ষের বেশি ভোটে হেরে গিয়েছেন কংগ্রেসের কিশোরীলাল শর্মার কাছে। সার্বিক ভাবে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস এবং তাদের জোট ‘ইন্ডিয়া’র ফলাফল ভাল। সেই কারণেই ভোটের পর ‘ধন্যবাদ যাত্রা’র ডাক দেওয়া হল।