—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আর মাত্র কয়েক মাস পরেই লোকসভা ভোট। ভোটের দিন ঘোষণা হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু তার আগেই লোকসভা ভোটের ঢাকে কাঠি দিয়ে দেওয়াল লিখনে মেতে উঠেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল এবং কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কান্দি মহকুমার কান্দি, ভরতপুর ও বড়ঞা বিধানসভা এলাকায় দেওয়ালে প্রার্থীর নাম বাদ দিয়ে দলীয় প্রতীক লেখার কাজ প্রায় শেষের দিকে।
পুরভোট অথবা পঞ্চায়েত ভোটের আগে দেওয়াল দখল করা থেকে শুরু করে দেওয়াল লিখনের কাজ দেখা যায়। কিন্তু এ বারই প্রথম লোকসভা ভোটের আগে দেওয়াল লিখনের কাজে ব্যস্ত দলের নেতা ও কর্মীরা। শাসক দলের পক্ষ থেকে দেওয়াল ঘেরার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল বলে জানায় তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু দেওয়ালে লেখার কোনও কর্মসূচি পালন করার কর্মসূচি নেওয়া হয়নি। কিন্তু দলের কর্মীরা অতিউৎসাহী হয়েই দেওয়াল লিখনের কাজ কতছেন বলেও দাবি করেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
লোকসভা ভোটে ‘ইন্ডিয়া’ জোট হওয়ার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, এখনও সেই জোট প্রক্রিয়া সরকারি ভাবে ভেস্তে যায়নি। তবে কলকাতার ধর্না মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘রাজ্যে সব ক'টি আসনেই তৃণমূল লড়াই করবে।’’ কারণ রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের আসন রফা হয়নি। যদিও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রার কর্মসূচি এ রাজ্যে চলাকালীন রাহুল নিজে ও কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ একাধিক বার দাবি করেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে ন্যায়যাত্রা খুব সুন্দর হয়েছে।’’ শেষ মুহূর্তে জোট হতে পারে। প্রার্থীর নাম ছাড়া দেওয়াল লিখনে তাই দু’পক্ষেরই সুবিধা। একই প্রার্থীর নাম দুই দলের দেওয়ালেই চলে যাবে। আবার, দেওয়াল লিখনে দুই দল এগিয়ে যাওয়ায় বিপাকে সাধারণ মানুষ। রাজনৈতিক কারবারিদের মতে এ রাজ্যে জোট বলে কিছু হবে না। সেই কারণেই দুই দলের কর্মীরা দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে সেটা বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
কান্দি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম সরকার বলেন, ‘‘দেওয়াল লিখনের মধ্যে কাজ কিছুটা এগিয়ে রাখা হচ্ছে। ওই ভোটকে ঘিরে দলের কর্মীরা এখন থেকেই উৎসাহী হয়ে রয়েছেন।’’
আর কান্দি মহকুমা কংগ্রেসের সভাপতি শফিউল আলম খান বলেন, ‘‘আমরা দেওয়াল ঘিরছি, সেখানে তৃণমূলের লোকজন জোর করে দেওয়াল দখল করছে। তাই বাধ্য হয়ে দলীয় প্রতীক লিখনের কাজ করতে হচ্ছে। জোট আর হবে না বলেই মনে হচ্ছে। যদিও সেটা আমাদের দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত, আমরা তার অপেক্ষায় রয়েছি।’’ কংগ্রেসের ঘেরা দেওয়াল দখল নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেও দাবি করেন তৃণমূল নেতৃত্ব।