Lok Sabha Election 2024

জোট নিয়ে এখনও জট কাটেনি ভগবানগোলায়

ভোট পান ২১.১৫ শতাংশ। এ বারেও আসনটি দাবি করেছে সিপিএম। এমনকি প্রার্থীও ঠিক করে ফেলেছে তারা। কিন্তু জোটের জট না কাটায় ঘোষণা করতে পারছে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৪ ০৯:১৮
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

জোট নিয়ে জট খুলছে না ভগবানগোলায়। সূত্রের খবর, সিপিএম এবং কংগ্রেস দুই শরিকই দাবি করেছে ওই বিধানসভা আসনটি। ১৯৫৭ সাল থেকে নির্বাচন হচ্ছে ভগবানগোলা বিধানসভায়। ১৬ বার নির্বাচন হয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত। ৬ বার জিতেছে কংগ্রেস, ৬ বার বামেরা। বাকি ৪ বার নির্দলীয় বা অন্য প্রার্থীরা।

Advertisement

২০২১ সালে ওই আসনে ১ লক্ষ ৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন তৃণমূলের ইদ্রিশ আলি। তাঁর প্রয়াণে ৭ মে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে ভগবানগোলা বিধানসভা উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ২০২১ সালে ভগবানগোলা বিধানসভা আসনটি ভাগে পেয়েছিল সিপিএম। প্রার্থী হন সিপিএমের মহম্মদ কামাল হোসেন। ভোট পান ২১.১৫ শতাংশ। এ বারেও আসনটি দাবি করেছে সিপিএম। এমনকি প্রার্থীও ঠিক করে ফেলেছে তারা। কিন্তু জোটের জট না কাটায় ঘোষণা করতে পারছে না। তবে সেখানে কয়েক দিন থেকেই প্রচারে নেমে পড়েছে বামেরা।

সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য সোমনাথ সিংহরায় বলেন, “ভগবানগোলায় উপনির্বাচন হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী ২০২১ সালের ফর্মুলা মতো আসনটি সিপিএমেরই প্রাপ্য। যদি নতুন করে ভাবনা চিন্তা করতে হয় তবে ২০২৬ সালের নির্বাচনের কথা ভাবতে হবে। জটিলতা থাকার কথাই নয়।সিপিএমই লড়বে সেখানে।”

Advertisement

ভগবানগোলার প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক মহসিন আলিও পরিষ্কার জানিয়েছেন, “ভগবানগোলা সিপিএমেরই আসন। তাই সেখানে প্রার্থী দেবে সিপিএমই। প্রচারেও নেমে পড়েছে সিপিএম। এ বারে এই কেন্দ্রে ভাল লড়াই হবে। কংগ্রেস কেন আসনটি দাবি করছে, জানি না।”

জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত দাস বলেন, “জোট হয় বর্তমান রাজনৈতিক শক্তির বিচারে। সেই কারণেই উপনির্বাচনে ভগবানগোলা আসন দাবি করেছে কংগ্রেস। মুর্শিদাবাদ লোকসভা আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সিপিএমকে, যদিও ২০১৯ সালে কংগ্রেস দ্বিগুণের বেশি ভোট পায় মুর্শিদাবাদ লোকসভা আসনে।’’ তিনি বলেন, ‘‘সময় হলেই ভগবানগোলায় কংগ্রেসের প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।”

ভগবানগোলা ১ ব্লকের কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “১৯ মার্চ আমরা অধীর চৌধুরীর কাছে প্রার্থী হিসেবে বায়োডেটাও জমা দিয়েছি। তা ছাড়া এক সঙ্গে কংগ্রেস ও সিপিএম দুই দলের কর্মীরা উৎসাহের সঙ্গে কাজে নামার সুযোগ পাবে এতে। জোটের দুই শরিকের পক্ষেই এটা ভাল। দুই দলের কর্মীরাই ভোটের কাজে নামবে।”

জোটের এই জট বজায় থাকলে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement