নির্বাচনের দিন এখনও ঘোষণা হয়নি। তার আগেই ডোমকলের বিভিন্ন গ্রামে পা পড়ল কেন্দ্রীয় বাহিনীর। ছবি সাফিউল্লা ইসলাম।
নির্বাচন আর মুর্শিদাবাদ—এই দু’টি শব্দ একত্রে শুনে চমকে ওঠেন পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকেরাও। কারণ এমনিতেই মুর্শিদাবাদের তুচ্ছ ঘটনায় কথায় কথায় অস্ত্র বের করার নজির যেমন রয়েছে, তেমনই তুচ্ছ ঘটনায় খুন সন্ত্রাসের নজিরও রয়েছে। আর নির্বাচন এলেই সে সব আরও বেড়ে যায়। খুন জখমে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদ। ফলে নির্বাচন এলেই বিরোধীরা সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলেন। এ বারে গত কয়েক বারের মতো তাঁরা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করানোর দাবি জানিয়েছে। নির্বাচন ঘোষণার আগেই নজিরবিহীন ভাবে রাজ্যের অন্য জেলার সঙ্গেও মুর্শিদাবাদে ৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে পৌঁছিয়েছে। রবিবার পুলিশ তাঁদের সঙ্গে নিয়ে উপদ্রুত এলাকায় রুট মার্চ করেছে।
মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে আমরা অনেক আগে থেকেই প্রস্তুত নিয়েছি। গত ডিসেম্বর থেকে বেআইনি অস্ত্র, গুলি, বোমা, বিস্ফোরক লাগাতার উদ্ধার করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে শনিবার গভীর রাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী জেলায় এসে পৌঁছেছে। রবিবার বিকেল থেকে তাদের সঙ্গে নিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় রুটমার্চ করানো হচ্ছে।’’ জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। তারা রুটমার্চও শুরু করে দিয়েছে।’’
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায় দুটি পুলিশ জেলায় মোট আট কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা। তার মধ্যে ৪ কোম্পানি মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলায় এবং ৪ কোম্পানি জঙ্গিপুর পুলিশ জেলায় আসার কথা। ইতিমধ্যে দুই পুলিশ জেলায় তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে।
আগামী সাত তারিখে মধ্যে আরও দু’ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলায় আসা তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বহরমপুর, কান্দি এবং ডোমকল মহকুমায় এক কোম্পানি করে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার থেকে তাঁরা এলাকায় টহল দিচ্ছে। রবিবার বিকেলে বহরমপুরের নওদাপানুর এলাকার বেজপাড়ায় বহরমপুর থানার পুলিশের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী রুটমার্চ করেছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলাতেও তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছিয়েছে। তাঁদেরও উপদ্রুত এলাকায় টহল দেওয়া শুরু হয়েছে।
বিরোধীদের দাবি, তাঁরা চান কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে উপদ্রুত এলাকায় টহল দেওয়া হোক। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রাখলে বা অপব্যবহার করলে তাঁরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব।